গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে চীনে দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। যা নিয়ে স্বাস্থ্য সংকটের উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। তবে চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশ্বস্ত করেছেন, এইচএমপিভি ভাইরাস বড় কোনো হুমকি নয়। যদিও সংক্রমণ বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে চীনের রোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের শারীরিক সমস্যা অনেকটা ফ্লুর মতো। এর উপসর্গও ফ্লুর মতো। চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা এটা নিশ্চিত করেছেন, এই ভাইরাসে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের সমস্যা হচ্ছে শ্বাসতন্ত্রে।
চীনা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন এইচএমপিভি নতুন কোনো হুমকি নয়। চীনা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটের গবেষক ঝেং লিশু বলেন, এইচএমপিভি একটি সাধারণ ভাইরাস যা ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।যদিও বৃদ্ধির হার কম এবং অস্পষ্ট লক্ষণের কারণে বিজ্ঞানীরা প্রায় দুই দশক আগে প্রথমবারের মতো এইচএমপিভি ভাইরাস শনাক্ত করতে পেরেছেন।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে, এই ভাইরাসের লক্ষণগুলো প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে ধীরে ধীরে কমে যায়।
চীনের চ্যচিয়াং ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের চিলড্রেনস হাসপাতালের শ্বাসযন্ত্র রোগ বিভাগের প্রধান থাং লানফাং বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এইচএমপিভি সংক্রমণ মৃদু হয়। তবে কিছু শিশুর সংক্রমণের পর নিউমোনিয়া হতে পারে। শিশু, বয়স্ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, দুর্বলতা, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্নও হতে হবে।
এই ভাইরাসের জন্য নির্দিষ্ট কোনো অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা বা টিকা নেই বলে উল্লেখ করেছেন চীনের বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রর (সিডিসি) নির্দেশনা অনুযায়ী চীনের বিশেষজ্ঞরাও যত্নের ওপর জোর দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্রাম, হালকা খাবার এবং উপযুক্ত পোশাক পরা।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া, পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখা এবং জনাকীর্ণ স্থান এড়ানোর পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:২৯:২৬ ১ বার পঠিত