৪৫ ম্যাচ খেলে কোনো সেন্টার ফরোয়ার্ড কিংবা স্ট্রাইকার যদি মাত্র ৫ গোল করেন, তবে সেটা তার জন্য ভয়াবহই। ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভয়াবহ এই কাজটির মধ্যে দিয়েই যাচ্ছিলেন আর্সেনালের গ্যাব্রিয়েল জেসুস। এখন বৃত্ত ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছেন এই নাম্বার নাইন।
১৮ ডিসেম্বর ক্রিস্টাল প্যালেস ম্যাচ দিয়ে শুরু করেছিলেন। কারাবো কাপের ওই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। লিগে পরের ম্যাচে আবার প্রতিপক্ষ প্যালেস, এবার করলেন জোড়া গোল। গত সপ্তাহে ইপ্সউইচের বিপক্ষে ম্যাচে কোনো গোল পাননি তিনি। বুধবার (১ জানুয়ারি) ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে আবার জালের দেখা পেয়েছেন। অর্থাৎ সবশেষ ৪ ম্যাচে ৬ গোল করে আগের ৪৫ ম্যাচের ফর্মকে দুইয়ে ঠেলে দিলেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার।
এক ম্যাচ বিরতিতে দিয়ে জেসুসের গোল পাওয়ার দিনে লিগে ব্রেন্টফোর্ডকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে আর্সেনাল। গানারদের অন্য গোল দুটি মিকেল মেরিনো ও গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লির। ব্রেন্টফোর্ডের গোলটি ব্রায়ান এমবিউমোর। এ জয়ে তিন থেকে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে আর্সেনাল। ১৯ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৩৯, ১৮ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। ব্রেন্টফোর্ড ২৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে ১২ নম্বরে।
ব্রেন্টফোর্ডের মাঠে ১১ মিনিটেই পিছিয়ে পড়েছিল আর্সেনাল। ডিফেন্ডার রিকার্ডো ক্যালাফিওরিকে একপ্রকার নাটমেগ করে গোল আদায় করে নেন ব্রায়ান। ২৮ মিনিটে ডেভিড রায়া অতিমানবীয় সেভ না দিলে দ্বিতীয় গোল হজম করত আর্সেনাল। লুইস পটারের শটে শুরুতে বাধা দিয়েছিলেন এগিয়ে যাওয়া স্প্যানিশ গোলরক্ষক, কিন্তু ঢুকে যাচ্ছিল জালে। দ্রুত পেছনে এসে লাফিয়ে সীমানার একদম উপর থেকে দলকে বাঁচান রায়া।
এক মিনিট পর গোলের মঞ্চ প্রস্তুত করে আর্সেনাল। ডি বক্সের অল্প বাইরে থেকে ব্রেন্টফোর্ডের জালে শট নিয়েছিলেন থমাস পার্টলে। কিন্তু গোলরক্ষক তা ফিরিয়ে দেন। ফিরতি বলে ঝাঁপিয়ে পড়া-হেডে ব্যবধান ১-১ করেন জেসুস। এবারের আসরে আর্সেনালের হয়ে ২৪ ম্যাচে এটা তার সপ্তম গোল। আগের দুই মৌসুমে করেছিলেন যথাক্রমে ১১টি ও ৮টি।
বিরতির পর তিন মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে জয় ছিনিয়ে নেয় আর্সেনাল। যার প্রথম গোলটি মেরিনোর, দ্বিতীয়টি জেসুসের স্বদেশি মার্টিনেল্লির।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫২:৪০ ৪ বার পঠিত