গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি হামলায় শরণার্থী শিবিরে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন ৩০ জন। এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, বাইত হানুন, বাইত লাহিয়া ও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে থাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য খাদ্য সহায়তাও পাঠাতে দিচ্ছে না দখলদাররা।
খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসা- সবগুলো মৌলিক চাহিদা থেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন গাজাবাসী। নেই থাকার ভালো জায়গা। মিলছে না নিয়মিত খাদ্য, এমনকি সুপেয় পানিও। সেখানে বস্ত্র, শিক্ষা আর চিকিৎসা তো বিলাসিতা।
বাস্তুচ্যুত মানুষেরা আশ্রয় নিয়েছেন শরণার্থী শিবিরগুলোতে। কিন্তু সেসব জায়গাও নিরাপদ নেই। নির্বিচারে অসহায় গাজাবাসীর ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েই যাচ্ছে ইসরাইল। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি আশ্রয়স্থলে নেতানিয়াহু বাহিনীর বিমান হামলায় প্রাণ গেছে অনেকের।
তবে বাইত হানুন, বাইত লাহিয়া ও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে থাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য খাদ্য সহায়তার বিষয়টি দখলদাররা নাকচ করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বিগত ৭০ দিন ধরে এসব শরণার্থী শিবির দখল করে রেখেছে ইসরাইলি সেনারা। এর মধ্যেই নতুন করে ইসরাইলের আর কোনো দখলদারিত্ব মেনে নেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জার্মানি। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এবার যুদ্ধ বন্ধ করা জরুরি’।
এদিকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আবারও তেল আবিবে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি। বৃহস্পতিবার এ হামলার দায় স্বীকার করেন গোষ্ঠীটির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া।
পাল্টা জবাবে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় অবস্থিত বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় নেতানিয়াহু বাহিনী। এতে অন্তত ৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩১:০৮ ২ বার পঠিত