দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের প্রধান প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। সামরিক আইন জারির ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর তিনি বলেছেন, এখনো ‘ভয়ঙ্কর ঝুঁকি’ আছে কারণ, প্রেসিডেন্ট আবার বেসামরিক শাসনকেও ধ্বংস করতে পারেন।
ক্ষমতাসীন দলের প্রধান হান ডং-হুন শুক্রবার সবাইকে সতর্ক করে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ইওল দেশের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
সিউল থেকে এএফপি এই খবর জানায়।
ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টি প্রধান ডং-হুন আরো বলেছেন, আগামীকাল শনিবার পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনপ্রণেতা সমর্থন দিতে প্রস্তুত রয়েছেন।
তবে, গত বৃহস্পতিবার হান যে কথা বলেছিলেন, তা থেকে সরে এসে এখন পুরোপুরি উল্টো কথা বলছেন। সেদিন তিনি বলেছিলেন, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাবে আমরা তার পক্ষে অবস্থান নিব। এছাড়া আরো একজন নেতা বলেছিলেন শনিবারের ভোটাভূটিতে ইওলের পক্ষ নিতে ১০৮ জন সদস্য প্রস্তুত আছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ইওল জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণকালে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন। কিন্তু ,তার এই ঘোষণার পরপরই প্রধান বিরোধীদলসহ সাধারণ জনগণ পার্লামেন্ট ভবন ঘেরাও করে রাখে। বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক লিবারেল পার্টি সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা থাকায় তার প্রচন্ড চাপ সৃষ্ঠি করলে স্পিকার ভোটাভূটির আয়োজন করেন এবং প্রেসিডেন্টের এই প্রচেষ্টাকে অবৈধ ঘোষণা করনে। পরে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে মাত্র ৬ ঘন্টার ব্যবধানে প্রেসিডেন্ট সামরিক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, সামরিক আইন জারির কারণ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ইওল বলেছেন, সংসদে উত্তর কোরীয় পন্থী লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পাটির সংখ্যাগরিষ্টতা থাকায় তিনি কোনো আইনই পাস করতে পারছিলেন না। সংসদে র ৩শ’ আসনেরে মধ্যে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আসন সংখ্যা ১৭০টি।
যদি অভিশংসন প্রস্তাব পাস হয় হয়ে যায়, তবে সাংবিধানিক আদালতের রায়ের জন্য তা অপেক্ষামান থাকবে। এরপর যদি বিচারকরা রায় দেন, তখন ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে অভিশংসন কার্যকর হবে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫২:৫৭ ৬ বার পঠিত