বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মোট পাচার হয়েছে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার, বর্তমান মুদ্রামানে বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ২৮ লাখ কোটি টাকা।
শ্বেতপত্র প্রণয়নে গঠিত কমিটির তিন মাসের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
গতকাল রবিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তার তেজগাঁও কার্যালয়ে এই রিপোর্ট হস্তান্তর করেন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আর্থিক খাতের রাঘববোয়াল, আমলা ও মধ্যস্বত্বভোগীরা এই পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি রিপোর্টস (জিএফআইআরএস) এবং কিছু নির্দিষ্ট পূর্বানুমানের ভিত্তিতে টাকা পাচারের হিসাব করেছে।
গত কয়েক বছরে অর্থ পাচার বাংলাদেশে উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাকা পাচারের বিষয়টিকে অর্থনীতিতে ক্ষতিকর ‘টিউমার’, যা বিগত সরকারের আমলে অর্থনীতি ও সম্পদের বড় অংশ চুষে নেয়।
কমিটি মনে করে, প্রতিবছর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩ দশমিক ৪ শতাংশের পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ও প্রবাস আয় থেকে যত অর্থ এসেছে, এর এক-পঞ্চমাংশ পরিমাণ অর্থ এক বছরে পাচার হয়। বিদেশি ঋণ ও বিনিয়োগ হিসেবে যত অর্থ আসে, এর দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ পাচার হয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৭:৩৩ ৭ বার পঠিত