একাত্তরের ডিসেম্বরে স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালি। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের শুরুর দিনেই বিজয় র্যালি বের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন উদ্দীপনায় এবারের ১৬ ডিসেম্বর উদ্যাপন করবে দেশের মানুষ।
বিজয়ের মাসে নানা আয়োজন প্রায় প্রতিবছরই থাকে ঢাবিতে। তবে এবারের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ হয়ত দেখা যায়নি বহুদিন। রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির বাইরে এসে বিজয় র্যালিতে অংশ নেন প্রায় প্রতিটি হলের ছাত্র-ছাত্রী।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাবির অপরাজেয় বাংলার সামনে বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খান। পরে তার নেতৃত্বে র্যালিটি স্মৃতি চিরন্তনী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এবারের বিজয়ের তাৎপর্য অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি উল্লেখ করে সবাইকে এক হয়ে দেশ ও জাতির জন্যে কাজ করার আহ্বান জানান ড. নিয়াজ আহমদ খান। তিনি বলেন, ‘নানামুখী বাধা এবং ষড়যন্ত্র সব অতিক্রম করে আমরা সামনে এগিয়ে যাবো।’
সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতে, এবারের বিজয় র্যালি ‘৭১ আর ’২৪-কে একই সূত্রে গেঁথেছে। তবে এই ধারা অব্যাহত রাখতে বিপ্লবের চেতনা মাথায় রেখে দেশ গড়তে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার তাগিদ তাদের।
আর জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলছে, এমন আয়োজনে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ চব্বিশের বিজয়েরই প্রতিফলন।
বিজয়ের ৫৩ বছরে নতুন করে গড়ে উঠবে সর্বসাধারণের স্বপ্নের বাংলাদেশ এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:২৪:১৩ ১৩ বার পঠিত