নেপালের স্থানীয় উপ নিবাচনে প্রথমবারের মতো দুই ট্রান্সজেন্ডার প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। যৌন ও লিঙ্গ সংখ্যালঘুদের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের জোর দেয়ার আশায় হিমালয় দেশটিতে এই ধরনের অধিকার রয়েছে।
এলজিবিটিকিউ অধিকার নিয়ে নেপালে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে প্রগতিশীল কিছু আইন রয়েছে।
কিন্তু, ২০০৮ সাল থেকে এই সম্প্রদায়ের কেউই সরকারি কোনো পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেনি। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার অধীনে একবারই শুধু একজন প্রকাশ্য সমকামী পুরুষ নেপালের সংসদে এমপি হতে পেরেছিলেন।
নেপালের কীর্তিপুর থেকে এএফপি এই খবর জানায়।
হানি মাহারজান (৪৪) বলেছেন, ‘আমি আশাকরি আমার প্রার্থীতা ভবিষ্যত নির্বাচনে খোলাখুলিভাবে
অংশ গ্রহণের জন্য কুইয়ার সম্প্রদায়ের অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।’
রোববারের নির্বাচনে তিনি রাজধানী কাঠমান্ডুর উপকন্ঠের কীর্তিপুরের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আইন পদক্ষেপ সত্ত্বেও অনেক এলজিবিটিকিউ লোক কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
হানি বলেছেন, ‘এখনো পর্যন্ত আমাদের সম্প্রদায়ের একজন সদস্যও নেপালে মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করার অধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।’
তিনি একটি দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠেছেন এবং একটি রেস্তোরাঁয় থালা-বাসন ধোয়ার পাশাপাশি একটি পোশাক কারখনায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহের জন্য সংগ্রাম করছেন। তিনি বর্তমানে একজন ট্যুর গাইড।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:১৭:৫৫ ৯ বার পঠিত