নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির সম্ভাব্য পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বিদেশি শিক্ষার্থী ও অভিবাসীদের মধ্যে। ফলে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের আগেই শিক্ষার্থী ও কর্মীদের ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। খবর বিবিসির।
আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণ করবেন ডোনাল্ ট্রাম্প। তার ক্ষমতা গ্রহণের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় তাদের বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীদের ক্যাম্পাসে ফেরার পরামর্শ দিচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ থাকায় এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শীতকালীন ছুটির পরে শিক্ষার্থীরা যাতে ক্যাম্পাসে ফিরে আসতে পারে তা নিশ্চিত করতে ই-মেইলে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে ২০১৭ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জারি করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার অভিজ্ঞতা। সে সময় বেশ কয়েকটি মুসলিমপ্রধান দেশসহ উত্তর কোরিয়া ও ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের ভিসার ক্ষেত্রেও কঠোর নিয়ম চালু করা হয় সে সময়।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে নথিপত্রহীন বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা চার লাখেরও বেশি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মনে করছে, নতুন অভিবাসন নীতির কারণে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া এবং ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়গুলো নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যারা প্রযুক্তি ও অন্যান্য খাতে ‘এইচ-১বি’ ভিসায় কাজ করছেন, তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডোর এক অধ্যাপক জানান, একাডেমিক ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আশা করছে, শিক্ষার্থীরা দেরি না করে দ্রুত ক্যাম্পাসে ফিরে আসবেন। ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতি সত্ত্বেও তারা শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ একাডেমিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করবে। তবে এই নীতি বাস্তবায়নের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অভিবাসন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৫:০৬ ৬ বার পঠিত