পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির আহ্বানে বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তাল দেশটির বিভিন্ন শহর। রাস্তায় নেমে আসা হাজারো সমর্থকদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। আজ বিক্ষোভকারীদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৪ সদস্যসহ ৫ জন নিহত হয়েছে।
ইসলামাবাদ থেকে এএফপি আজ এই খবর জানিয়েছে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মোহসীন নকবি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইসলামাবাদের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভকারীদের হামলায় আধা-সামরিক বাহিনীর ৪ সদস্য নিহত হয়েছে।’
এদিকে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রীনগর মহাসড়কে কিছু দুষ্কৃতকারী রেঞ্জার্স কর্মীদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় আধা-সামরিক বাহিনীর ৪ সদস্য এবং এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে নিরপত্তা বাহিনীর ৭ সদস্য।
নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলেছে, চলমান বিক্ষোভকে ঘিরে সংঘাতে দুই দিনে শতাধিক পুলিশ আহত হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার এবং সংবিধানের ২৬তম সংশোধনীর প্রতিবাদে গত ১৩ নভেম্বর এই বিক্ষোভ কর্মসুচির ডাক দেন কারাবন্দী ইমরান। পিটিআই-এর এই কর্মসুচিকে
বেআইনি ঘোষণা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যস্থা গ্রহণে কেন্দ্রিয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
চলমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ইসলামাবাদে সংবিধানের ২৪৫ ধারা সক্রিয় করে সেনা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের সহিংস পরস্থিতি ও জঙ্গি তৎপরতা কঠোর হাতে দমনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমনকি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিক্ষোভকারীদের দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইসলামাবাদ অভিমুখী গাড়িবহরে রয়েছেন খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুর ও ইমরান পত্নী বুশরা বিবি।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসীন নকবি বলেছেন, ইসলামাবাদের ‘রেড জোনে’ প্রবেশ করলে ইমরানের সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হবে। সরকারি ভবনের সুরক্ষায় ঐ এলাকায় চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইমরানের মুক্তির দাবিতে চলমান বিক্ষোভে দুইদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইসলামাবাদের আশপাশের সব মহাসড়কে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পিটিআইয়ের ৫ এমপিসহ ৮ হাজার সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:০৪:২০ ৬ বার পঠিত