আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, আগামী নির্বাচন যথাসময়ে সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। কেউ কেউ বলে নির্বাচন হতে দেবে না। মাঠে এসে নির্বাচন বাধা দিয়ে দেখুক। আওয়ামী লীগ মাঠে আছে, চুপ করে বসে নাই।
সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ এসব কথা বলেন তিনি। সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয় শ্রমিক লীগ।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন আর দেশে শ্রমিক মালিকের মধ্যে ভেদাভেদ নেই। সবাই এক হয়ে গেছে। মালিক শ্রমিক সবাই ভালো এখন আছে।
বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি হলো বাইচান্স পার্টি।
এদের কোনো ইতিহাস ঐতিহ্য নেই। তাদের একটাই লক্ষ্য শেখ হাসিনা শেষ করতে হবে। এদেশের মধ্যে যদি কোনো খুন-খারাবির দল থাকে সেটা হলো বিএনপি। বাবা পুত্র-মা মিলে দেশেটাকে শেষ করতে চাইছে। জিয়াউর রহমানের পরিবার হলো খুনি পরিবার। তাদের খুন করা ছাড়া কোনো কাম নেই৷ তারা দেশকে নিয়ে ভাবে না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, বিএনপি বলে নির্বাচন করতে দেবে না, আমি (মায়া) তাদেরকে বলে দিতে চাই, নির্বাচনে বাধা দিতে বিএনপি নেমেই দেখুক কী হয়, মাঠে আসেন। আওয়ামী লীগ মাঠে নেমে গেছে, আওয়ামী লীগ প্রস্তুত আছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে। আপনারা (বিএনপি) নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ চুপ করে বসে নাই। আমাদের কাজ আমরা করে যাচ্ছি৷ জনগণকে পায়ে ধরে ভোট চাইব শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শ্রমজীবী মানুষ ভালো আছে। এদেশের শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। দেশের মেহনতি ও শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণের লক্ষ্যই নিয়ে শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু এদেশ এগিয়ে যাওয়ার প্রধান অন্তরায় হলো বিএনপি। বিএনপি দেশের শত্রু, এরাই বার বার দেশের গণতন্ত্রে বাধা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এদেশের মানুষকে এগিয়ে নিতে চাই। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি বিরুদ্ধে যারাই বিরোধিতা করবে, যারাই বাধা হবে, বিএনপি-জামায়াত আর যারাই হোক সেই অপশক্তিকে প্রতিহত করে এদেশকে এগিয়ে নেব।
বিএনপির কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে নাছিম বলেন, এই বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা করেছিল বিএনপি। বিএনপির গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর জীবন দিতে হয়েছে। একইভাবে গোলাপগঞ্জে বোমা পুতে রেখেছিল বিএনপি। এই বিএনপির আমলে জঙ্গিবাদ বাংলা ভাই সৃষ্টি, আবারই তারাই এসব নিয়ে কথা বলে।
জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নানের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আযম খসরু। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামশ পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:১০:২৬ ৬৬ বার পঠিত