ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তারা একরাতে দেশটিতে ৩৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছুড়েছে। এতে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
স্থানীয় সময় রোববার রাতে হিজবুল্লাহর হামলায় তেল আবিবের ‘গুরুতর ক্ষতি’ হয়েছে বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
আগের দিন শনিবার লেবাননে ইসরায়েলের তুমুল বিমান হামলায় অন্তত ২৯ জনের প্রাণহানির পর হিজবুল্লাহ এই পাল্টা হামলা চালাল। হিজবুল্লাহ আগেই ইসরায়েলের হামলার জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল।
এক বিবৃতিতে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে আশদ নৌঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে তারা। পরে সংগঠনটি আবার জানায়, অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে তেল আবিবের একটি ‘সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে’ মুহুর্মুহু হামলা চালানো হয়েছে। এ ছাড়া তেল আবিবের উপকণ্ঠে গ্লিলট সেনাবাহিনী গোয়েন্দা ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তারা।
হামলার বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চাইলে প্রথমে এ সম্পর্কে এএফপির কাছে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
এর আগে তারা জানায়, তেল আবিবের উপকণ্ঠসহ উত্তর-পূ্র্ব ও মধ্য ইসরায়েলের একাধিক জায়গায় সাইরেনের শব্দ শোনা গেছে। আকাশপথে হামলা হলে এমন সাইরেন বাজানো হয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর ছোড়া প্রায় ৩৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন লেবানন থেকে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আকাশে থাকতেই ধ্বংস করা হয়েছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হামলা শুরু করে, যা এখনও চলছে।
লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের জোরদার হামলার মধ্যে শনিবার রাজধানী বৈরুতের মধ্যাঞ্চলে বড় ধরনের এক হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ১১:২৬:৩৯ ৮ বার পঠিত