ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে ডিসেম্বরে একটি অস্ত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই আয়োজনে ইরান, ইসরায়েল, চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শন করবে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভিয়েতনামের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
কমিউনিস্ট শাসিত ভিয়েতনাম দীর্ঘদিন ধরে সামরিক সরঞ্জামের জন্য রাশিয়া নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করছে। সে লক্ষ্যের ধারাবাহিকতায় এই অস্ত্র প্রদর্শনী আয়োজিত হতে যাচ্ছে। হ্যানয়ে ১৯ থেকে ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে ২৭টি দেশের প্রায় ২০০টি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেছে। এর মধ্যে চীন ও ইরানের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। ২০২২ সালে আয়োজিত প্রথম আন্তর্জাতিক সামরিক মেলায় তারা অংশ নেয়নি।
প্রদর্শনীতে ইসরায়েল ও ইরানের প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানও থাকবে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ইরান এই মেলায় অংশগ্রহণ করবে।
২০২২ সালের মেলায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান এলবিট সিস্টেমস ও রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমস অংশগ্রহণ করেছিল। এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। এছাড়া কী কী অস্ত্র প্রদর্শিত হবে সেটাও নিশ্চিত নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা কোম্পানি নরিনকো গ্রুপ এবারের মেলায় অংশ নেবে বলে প্রতিরক্ষা শিল্প বিভাগের উপপ্রধান লে. কোয়াং তুয়েন জানিয়েছেন।
ভিন্ন ভিন্ন ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের এমন যৌথ প্রদর্শনী বিরল ঘটনা। এই বৈচিত্র্যময় অংশগ্রহণকে ‘বাঁশ কূটনীতি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলসের অধ্যাপক নগুয়েন থে ফুয়ং। তার মতে, দেশের প্রতিরক্ষা স্বার্থে ভিয়েতনাম যে কোনও অংশীদারের সঙ্গে কাজ করবে।
বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন করছে ভিয়েতনাম। এর মাধ্যমে দেশের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি রফতানির সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২২ সালের মেলায় ভিয়েতনাম পাঁচটি বিদেশি প্রতিরক্ষা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের কথা জানিয়েছেন তুয়েন। যদিও এসব চুক্তির কোনো প্রকাশ্য রেকর্ড নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩২:২৮ ৬ বার পঠিত