দোয়া হল আল্লাহর সাথে বান্দার গভীর সম্পর্কের অন্যতম সেতুবন্ধন। একজন মুমিন যখন আন্তরিকতার সাথে আল্লাহর দরবারে দোয়া করে, তার মনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে এই দোয়া কি কবুল হবে? অনেকেই দোয়া কবুলের নানা নিদর্শন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী।
ইসলামিক স্কলারদের মতে, আল্লাহ যদি আমাদেরকে আরও নেক আমলে উৎসাহিত করেন, তাহলে এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে দোয়া কবুলের একটি চিহ্ন।
আমাদের ইবাদাত কবুল হওয়ার অন্যতম স্পষ্ট নিদর্শন হলো, যখন আল্লাহ আমাদের পরবর্তী কোনো নেক আমলে উৎসাহিত করেন। আরেকটি নিদর্শন হলো, আল্লাহর ব্যাপারে সুধারণা রাখার ফলে আমাদের মধ্যে আশা ও আত্মবিশ্বাসের জন্ম নেয়।
এমন প্রশ্নের উত্তরে, দারুল ইফতা আল-মিসরিয়্যাহ বলেন, ইবাদাত কবুলের বিষয়টি যুগ যুগ ধরে বিখ্যাত মুসলিম আলেমদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তারা কিছু নিদর্শন চিহ্নিত করেছেন যা আমাদেরকে বোঝাতে সাহায্য করে যে আমাদের ইবাদাত আল্লাহর কাছে কবুল হয়েছে কিনা।
সাঈদ ইবনে আল-মুসায়্যাব এ বিষয়ে বলেন, ইবাদাত কবুলের একটি স্পষ্ট নিদর্শন হলো, যখন আল্লাহ পরবর্তী কোনো নেক কাজের দিকে আমাদের পরিচালিত করেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন ব্যক্তি জোহরের নামাজ পড়েন, পরে আসরের নামাজ পড়ার জন্য অনুপ্রাণিত হন, তবে এটি একটি ইঙ্গিত যে আল্লাহ জোহরের নামাজ কবুল করেছেন আর পরবর্তী নামাজের জন্য তাকে অনুপ্রাণিত করেছেন।
আরেকটি নিদর্শন হলো আল্লাহ সম্পর্কে সুদৃঢ় ধারণা রাখা, যা কোরআনে ও হাদিসে কুদসিতে এসেছে, আমি আমার বান্দা যেমন আমার সম্পর্কে ধারণা পোষণ করে, আমি তেমনই।
তাই আমাদের উচিত আল্লাহ সম্পর্কে সদা সুধারণা রাখা। এই বিশ্বাস রাখা যে আল্লাহ পরম দয়ালু এবং করুণাময়। তার অশেষ দয়ার কারণে, তিনি আমাদের নেক আমল কবুল করবেন এবং আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করবেন।
সত্যিকার অর্থে দোয়ার কবুল হওয়া আল্লাহর রহমত ও দয়া। তাই আমাদের উচিত সবসময় আল্লাহর প্রতি সুধারণা রাখা এবং বিশ্বাস রাখা যে, তিনি আমাদের কল্যাণকর দোয়া কবুল করবেন।
আল্লাহর পক্ষ থেকে নেক কাজের প্রতি প্রেরণা পাওয়া, আল্লাহর করুণার উপর আস্থা স্থাপন করা আমাদের দোয়া কবুলের ইঙ্গিত হতে পারে। আল্লাহর অসীম দয়ার প্রতি ভরসা রেখে আমরা তার কাছে আমাদের সব চাওয়া-পাওয়া নিবেদন করতে পারি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩০:০২ ৭ বার পঠিত