বুধবার (১৪ জুন) মিরপুরের ‘হোম অব ক্রিকেট’ শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্ট ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। তবে ইনিংসের শুরুতেই সাজঘরে ফিরে যান ইনজুরি কাটিয়ে জাতীয় দলে ফেরা জাকির হাসান।
দিনের দ্বিতীয় ওভারে আফগানদের হয়ে অভিষিক্ত পেসার নিজাত মাসুদের অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়েই উইকেটরক্ষকের তালুবন্দি হন জাকির। ফলে দলীয় ৬ রানের মাথায় মাত্র ১ রানে বিদায় নেন ভারতের বিপক্ষে অভিষেকে সেঞ্চুরি হাঁকানো এই ব্যাটার।
এরপর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেখান থেকে আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে সঙ্গে নিয়ে পাল্টা লড়াই চালিয়ে যান। যার মধ্যে অনেকটা ওয়ানডে মেজাজেই ব্যাট করেন শান্ত। ফলে লাঞ্চ বিরতির আগেই মাত্র ৫৮ বলেই টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি পূর্ণ করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
তার ঠিক বিপরীত মেজাজে ব্যাট করে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান জয়। এই দুজনের নিরবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১ উইকেটে ১১৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করেন তারা। এরপর আবারও আক্রমণ চালান শান্ত। ফলে টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যান এই ব্যাটার।
তবে শান্তকে অপেক্ষায় রেখেই ফিফটি তুলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন তরুণ ওপেনার জয়। দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল চোটে পড়ার কারণে একাদশে সুযোগ পান জয়। আর সুযোগ পেয়েই আস্থার প্রতিদান দিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ১০২ বলে ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো এই মাইলফলক স্পর্শ করেন ২২ বছর বয়সী এই ব্যাটার।
জয়ের ফিফটির পর ওয়ানডে স্টাইলে সেঞ্চুরি তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাটে তিনি শতকের স্বাদ পেয়েছেন মাত্র ১১৮ বলে। তবে শান্তর সেঞ্চুরির পর বিদায় নেন জয়। অনিয়মিত বোলার রহমত শাহর লেগ স্পিন বলে অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বসেন জয়।
রহমতের নিরীহ ডেলিভারিতে কাট শট খেলার জন্য ব্যাট চালিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান। তবে ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ গেছে স্লিপে থাকা ইব্রাহিম জাদরানের হাতে। তাতে ভেঙে যায় শান্তর সাথে তার ২১২ রানের জুটি। ফলে সেঞ্চুরির ভালো একটি সুযোগ তৈরি করেও এই ব্যাটার থেমেছেন ৭৬ রানে। ইনিংসে তার ছিল ৯টি চারের মার।
বিস্তারিত আসছে…
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৫:২০ ৪১ বার পঠিত