সদ্য শেষ হওয়ার ভারত সফরে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ দল। টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে মানসিকভাবে চাপে ছিল টাইগাররা। তবে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজ দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিল শান্ত বাহিনী। কিন্তু সিরিজের প্রথম এবং মিরপুর টেস্টেও নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি স্বাগতিকরা। যার ফলে প্রথম ম্যাচে প্রোটিয়াদের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে টাইগাররা।
মিরপুর টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এরপর ব্যাট করতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩০৭ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা ৩০৭ রান করলে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০৬ রান। জবাব দিতে নেমে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে ৭ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় সফরকারীরা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দুই প্রোটিয়া ওপেনার এইডেন মারক্রম এবং টনি ডে জর্জি। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি মারক্রাম। ২৭ বলে ২০ রান করে তাইজুলের বলে বোল্ড আউট হন তিনি। ৫২ বলে ৪২ রান করে তাকে সঙ্গ দেন আরেক ওপেনার টনি ডে।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি ডেভিভ বেডিংহ্যাম। ১২ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ক্রিস্টান স্টাবসের ৩০ রান এবং রাইয়ান রিকেলটনের অপরাজিত ৩ রানে ভর করে ৭ উইকেট এবং পুরো দেড় দিন বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে ১-০ তে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।
বাংলাদেশের হয়ে তিন উইকেট শিকার করেন তাইজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) চতুর্থ দিনের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন নাঈম হাসান। ২৯ বলে ১৬ রান করেন তিনি। এরপর বেশিক্ষণ পিচে থাকতে পারেননি তাইজুলও। ৭ রান করেন এই স্পিনার।
এদিকে এক প্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান মিরাজ। কিন্তু হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে এই টাইগার অলরাউন্ডারকে। ১৯১ বলে ৯৭ রান করে রাবাদা ষষ্ঠ শিকার হন তিনি। এতে ৩০৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। আর তাদের লিড দাঁড়ায় ১০৬ রানে।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট শিকার করেন কাগিসো রাবাদা। এ ছাড়াও কেসব মহারাজ তিনটি এবং মুল্ডার নেন একটি উইকেট।
উল্লেখ্য, গতকাল (বুধবার) তৃতীয় দিন শেষে ৮৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রান তুলতে পেরেছিল বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ ৮৭ রানে এবং ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন নাঈম।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১২:৩০ ৪২ বার পঠিত