অনেক দলের এজেন্ডায় রাষ্ট্র সংস্কার চিন্তা নেই: ড. ইফতেখারুজ্জামান

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » অনেক দলের এজেন্ডায় রাষ্ট্র সংস্কার চিন্তা নেই: ড. ইফতেখারুজ্জামান
শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪



অনেক দলের এজেন্ডায় রাষ্ট্র সংস্কার চিন্তা নেই: ড. ইফতেখারুজ্জামান

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার কমিটির প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নতুন বাংলাদেশ গঠন নিয়ে যে সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে সবাই এখন আশাবাদী। তবে তুমুল এ আন্দোলনের পর নিজেদের যারা জয়ী ভাবছেন, তাদের অনেকের এজেন্ডার মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কারের চিন্তা-চেতনাটাও নেই। তাদের মধ্যে এখনও বিভিন্নভাবে বৈষম্য জিইয়ে রাখার এজেন্ডা রয়েছে।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত ‘নাগরিক সমাজ: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক জাতীয় পরামর্শ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে যে ক্ষমতার রাজনীতি, সেখানে এখনও যে সংকীর্ণতা; তাতে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে চ্যালেঞ্জ নিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ করতে হয়। যখন যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তারাই আমাদের চরম শত্রু ভেবেছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে অসহযোগিতা করেছে। আবার হয়রানির জন্য মিথ্যা মামলাও করেছে।

তিনি আরও বলেন, যখন আবার সেই দল ক্ষমতার বাইরে থেকেছে, বিরোধীদলে গেছে; তখন আমাদের কর্মকাণ্ডগুলোকে সাধুবাদ জানিয়েছে। গত ১৫ বছরের যে ইতিহাস, সেখানেও কিন্তু ধারাবাহিক সেই প্রক্রিয়াই চলেছে। তাদের এমন কঠোরতা ও উদারতার কারণ হলো- একপক্ষের ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে এবং অন্যপক্ষকে ক্ষমতায় যেতে হবে। অথচ, অনিয়ম-দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, সুশাসনের ঘাটতির যে চিত্র, তা তুলে ধরে এনজিও এবং সিএসও খাতের সংস্থাগুলো মূলত সরকারকে সঠিক কাজটি করতে সহায়তা করে থাকে। সেটি কিন্তু বিগত সরকারগুলো অনুধাবন করতে পারেনি। ফলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, আমাদের চাপে রাখার জন্য রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও ব্যবহার করা হয়েছে। দফায় দফায় বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। বিদেশি অর্থায়ন রুখতে কাজ করা হয়েছে। নাগরিক অধিকার হরণের জন্যও ঠিক একইভাবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যক্তিগত কোনো দল, মত, সংস্থাকে টার্গেট করে আমি এসব কথা বলছি না। ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে আমি বিষয়গুলো স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কোনো দল ক্ষমতায় থাকলে এক রকম, বাইরে থাকলে আরেক রকম যে ব্যবহার আমাদের সঙ্গে করা হয়েছে, সেগুলো মাথায় রেখে আমরা কাজ করেছি। তবে ছাত্র-জনতা যেভাবে সংগ্রাম করে একটি প্রেক্ষাপট আমাদের সামনে এনেছেন, সেই জায়গা থেকে এখন আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। সংকীর্ণতা, হয়রানি থেকে মুক্তির পথ খুঁজছি। নতুন এ বাংলাদেশে বেসরকারি সংস্থাগুলো নাগরিক সেবা দিতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। সেখানে নিরাপদে কাজ করার মতো একটি পরিবেশ আমরা প্রত্যাশা করছি।

দেশে কাজ করা তিন শতাধিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, নাগরিক সংগঠন ও প্ল্যাটফর্ম, নারী আন্দোলন, মানবাধিকার সংগঠন, সামাজিক উদ্যোক্তা এবং গবেষকদের ঐক্যজোট সিএসও অ্যালায়েন্স এ পরামর্শ সভার আয়োজন করে।

সভা সঞ্চালনা করেন সিএসও অ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক রাশেদা কে চৌধুরী। এতে অন্যান্যের মধ্যে পানিসম্পদ এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ব্র্যাকের চেয়ারপারসন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৯:৫১   ২৪ বার পঠিত  




ছবি গ্যালারি’র আরও খবর


গাজায় জিম্মিদের মুক্তি আলোচনায় উন্নতি হচ্ছে : নেতানিয়াহু
দুর্নীতি ও প্রহসনমুক্ত বাংলাদেশ গড়া হবে: জামায়াত আমির
নাটোরে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সমাপ্ত
রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন নিয়ে অধৈর্য: উপদেষ্টা আসিফ
সংসার সুখী হওয়ার টিপস দিলেন টয়া



আর্কাইভ