ভারতে পালানোর সময় ফতুল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কিশোর আদিল হত্যা মামলার আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা রুস্তম খন্দকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে কৌশলে পালিয়ে যান তার সহযোগীরা। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকালে যশোরের বেনাপোল থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রুস্তম খন্দকার ফতুল্লা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক মজুমদার জানান, বৃহস্পতিবার রুস্তম খন্দকার বেনাপোল ইমিগ্রেশনে প্রবেশ করলে সেখানে কর্মরত নিরাপত্তা কর্মীদের সন্দেহ হয়। একপর্যায় জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি ফতুল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কিশোর আদিল হত্যা মামলার আসামি।
ওসি আরও জানান, গ্রেফতার স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রুস্তম খন্দকারকে প্রাথমিকভাবে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। পরে তাকে ফতুল্লা থানায় সোপর্দ করা হবে।
অপরাধীরা যাতে পালাতে না পারে, সে কারণে চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ভবনে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে পুলিশ। এতে সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ, বিজিবি ও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
এ দিকে সম্প্রতি বেনাপোল সীমান্ত ব্যবহার করে অপরাধীদের ভারতে পালানোর সংখ্যা বাড়ছে। তবে যাদের সঙ্গে চুক্তি করে তারা চেকপোষ্ট অতিক্রম করছেন তারা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
এর আগে বুধবার (১৬ অক্টোবর) বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে আটক করে পুলিশ। তাকে ভারত পাঠাতে সিন্ডিকেটের সঙ্গে ৫ লাখ টাকা চুক্তি হয়েছিল বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৫:৪৪ ২১ বার পঠিত