অল্প জ্বর মনে করে বাড়িতেই চলছে অনেক শিশুর চিকিৎসা। তবে টানা চার থেকে পাঁচদিনেও কমছে না জ্বর। যুক্ত হয়েছে বমি আর শরীর ব্যথার সঙ্গে খিঁচুনি। পরীক্ষায় ধরা পড়ছে ডেঙ্গু। রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু হসপিটাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউট জানাচ্ছে, ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ১ থেকে ৫ বছর বয়সি শিশুর সংখ্যাই বেশি। এর পরেই রয়েছে ৬ থেকে ১০ বছর বয়সিরা।
আট বছর বয়সি শিশু জুনায়েদ আহমেদ জাহিনকে হারিয়ে পাগলপ্রায় বাবা-মা। দশদিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় জাহিন। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেছে না ফেরার দেশে।
প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর তালিকাও। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত শিশুদের অবস্থা শোচনীয়। রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, ভর্তি হওয়া শিশুদের মধ্যে ১ থেকে ৫ বছরের শিশুর সংখ্যাই বেশি।
চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু মৌসুমে শিশুরা জ্বরে আক্রান্ত হলেই দেরি না করে দ্রুত করতে হবে রক্ত পরীক্ষা। শিশুর জ্বর হলে অবশ্যই ডেঙ্গু স্পেশালাইজড কোনো সেন্টার অথবা শিশু হাসপাতাল বা কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপান্ন হতে হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।
ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে বাঁচতে শিশু ও বয়স্কদের ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৩:২৭ ১৬ বার পঠিত