বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হাতে হাতে এখনো বিপুল সংখ্যক অবৈধ অস্ত্র রয়েছে যেগুলো এখন জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, গণম্যধমে খবর এসেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো লাইসেন্স বাতিল হওয়া ১ হাজার ৮৮৮ অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি।
আজ বগুড়া সদর উপজেলার সাবগ্রাম ইউনিয়নের চক আকাশ তারা গ্রামে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এসব কথা বলেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বগুড়ায় শহিদ কমর উদ্দিন খান, শাকিল হোসেন ও জিল্লুর রহমানের পরিবারের হাতে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে এ অনুদান হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিএনপি’র কোষাধ্যক্ষ ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, সংগঠনের আহবায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জমান তালুকদার লালু, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, জাসাস নেতা জাহেদুল আলম হিটু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আরিফুর রহমান তুষার প্রমুখ।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। অন্যান্য জেলায়ও অস্ত্র ব্যবহারের খবর পাচ্ছি। কেনো এখনো অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি অর্ন্তবর্তী সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
তিনি বলেন, এছাড়া, গণভবন থেকে এসএসএফের অনেক আধুনিক অস্ত্র খোয়া গেছে। এগুলো উদ্ধার করতে না পারলে জনগণ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবে না।
এ সময় বিএনপির মুখপাত্র আরও বলেন, আওয়ামী লীগের লোকেরা লাখ লাখ কোটি কালো টাকা নিয়ে বসে আছে। দেশের নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যমে খবর এসেছে বিগত ১৫ বছরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার ১৮.৩৫ লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এর মধ্যে ১৭.৬০ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। বাকি টাকা আছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হাতে, তাদের ব্যবসায়ীদের হাতে। এ টাকা সন্ত্রাসী কর্মকা-ে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেটি আমরা গোপালগঞ্জে দেখলাম।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে শুনলাম শেখ হাসিনা সীমান্তের কাছাকাছি আছেন। তিনি দেশে আসার প্রস্ততি নিচ্ছেন। আর এ খবর পেয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী আবারো রক্তাক্ত পথ বেছে নিয়েছে। তার প্রভুরা বাংলাদেশে অর্ন্তঘাত সৃষ্টির জন্য বসে আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে আরো রক্ত ঝরবে, আরো গণহত্যা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:০০:২৬ ১৬ বার পঠিত