ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি ও এর প্রভাবে মিয়ানমারে হওয়া বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪-এ দাঁড়িয়েছে। রোববার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। খবর দ্য হিন্দুর
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ৭৪ জন। সে সময় পর্যন্ত নিখোঁজ ছিলেন অন্তত ৮৯ জন। নিখোঁজদের বিষয়ে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে।
এশিয়ায় চলতি বছর সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগির আঘাতে ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে শত শত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
এক সরকারি হিসেব মতে, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, লাওস, থাইল্যান্ড এই চারটি দেশে ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি ও এর প্রভাবে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার মিয়ানমারের জান্তা সরকার মৃতের সংখ্যা ৩৩ জানিয়েছিল। এছাড়া সরকার আরও জানিয়েছে বন্যায় প্রায় ৫টি বাঁধ ধ্বংস হয়েছে। ২ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৫ হাজারের বেশি বাড়ি।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে অশান্তি চলছে।
এদিকে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, ঝড়ে প্রধানত রাজধানী নেপিদো, সেইসাথে মান্দালে, ম্যাগওয়ে এবং বাগো অঞ্চলের পাশাপাশি পূর্ব ও দক্ষিণের শান রাজ্য, মোন, কায়াহ এবং কায়িন রাজ্যগুলোকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য ৮২টি ত্রাণ শিবির খুলেছে। এছাড়া থাইল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস মেকং নদীর তীরবর্তী প্রদেশগুলিতে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা দিয়েছে।
এর আগে বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে বিদেশি সহায়তা চেয়েছিলেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান। গতকাল শনিবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৪:৩৭ ৯ বার পঠিত