বই বাঁধাই শিল্পে সিন্ডিকেট বিলুপ্ত করাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক বাঁধাই ব্যবসায়ী সমিতি।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা নিজ কর্মক্ষেত্রে সীমাহীন বৈষম্যের শিকার। সিন্ডিকেটের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হতে হতে আজ আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। সারাদেশে যখন স্বৈরাচারের দোসরদের পতন ঘটছে, সেখানে আজও সেই সর্বগ্রাসী সিন্ডিকেট বহাল তবিয়তে শিক্ষা খাতের এই বিশাল অংশটি কুক্ষিগত করে রেখেছে। আমরা পুস্তক বাঁধাই ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে নির্যাতিত অবস্থায় দিন অতিবাহিত করছি। অথচ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের অবদানও কম নয়। বিগত অবৈধ সরকারের অবৈধ সিন্ডিকেটের কবলে আজ আমরা সব হারাতে বসেছি।
পুস্তক বাঁধাই ব্যবসায়ী সমিতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রেজিস্ট্রারকৃত অনুমোদিত এবং এফবিসিআইয়ের প্রথম শ্রেণির সদস্য। স্বাধীনতা উত্তর জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক বোর্ড বই টেন্ডারের মাধ্যমে তালিকা ভুক্তি অবস্থায় বই বাঁধাই করে আসছি। বোর্ড বই সৃজনশীল ও ধর্মীয় বইসহ সকল প্রকার বই আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে বাঁধাই করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় ১৯৯৯ সালে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান আমাদের সংগঠনকে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে একচেটিয়াভাবে কুক্ষিগত করেন। পরবর্তীতে তার নেতৃত্বেই মুদ্রাকারদের একটি সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে।
তারা আরও বলেন, সরকারের নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে যে, প্রকাশনী বই প্রকাশ করবে। মুদ্রাকার বই মুদ্রণ করবে এবং বাঁধাইকারক বই বাঁধাই করবে। কিন্তু এই নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই সিন্ডিকেট একচেটিয়াভাবে কাজ বাগিয়ে নেয়। এত দিন ধরে ওপেন টেন্ডারের কোনো তোয়াক্কা না করে কিছু সরকারি কর্মকর্তার যোগসাজশে কাজ করে আসছে। দীর্ঘদিনের এই অচলাবস্থা নিরসনে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, পাঠ্যপুস্তক বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেও কোনো সুরাহা পাইনি।
তাদের দাবিসমূহ হলো;
১. বাঁধাই শিল্পে মুদ্রাকারকদের অনৈতিক হস্তক্ষেপ ও সিন্ডিকেটের বিলুপ্ত সাধন করতে হবে।
২. সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ওপেন টেন্ডারের মধ্য দিয়ে পূর্বের মতো সরকারের সঙ্গে সরাসরি কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
৩. বাঁধাই কাজের সকল সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাঁধাইকারকদের নির্বাচিত প্রতিনিধির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:১৫:২৭ ১৬ বার পঠিত