নবী (সা.)-এর সময়ে অথবা খোলাফায়ে রাশেদিনের যুগে, তাবেয়ি ও তাবে-তাবেয়িদের সময়কালে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে কোনো উৎসবের প্রচলন ছিল না। ঐতিহাসিক ও ফকিহদের মতে হিজরি ৪র্থ শতাব্দীর মাঝামাঝি শিয়া সম্প্রদায়ের উদ্যোগে প্রথম এই উৎসব শুরু হয়।
৩৫২ হিজরিতে বাগদাদের শিয়া শাসক মুইজলি দীনিল্লাহ আশুরা এবং গাদীরে খুম দিবস পালন শুরু করেন। ফাতেমীয় শাসকরা মিসরে ১২ রবিউল আউয়াল তারিখে মিলাদুন্নবী উদযাপন করতেন।
মুসলিম সমাজে এটি প্রথম চালু করেন ইরবিলের শাসক আবু সাঈদ মুজাফফর উদ্দীন কুকুবুরী। তিনি ৬০৪ হিজরিতে সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে এই উৎসব প্রচলন করেন। সিরাতুন্নবী গবেষকদের মতে, তিনিই মিলাদুন্নবীর প্রকৃত উদ্ভাবক। পরবর্তীতে, এই উৎসব ভারতীয় উপমহাদেশসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অনেক দেশে এটি সরকারি ছুটির দিন হিসেবেও পালিত হয়। তবে, এই উৎসবের বৈধতা নিয়ে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে এখনও বিতর্ক রয়েছে।
রসুল সা. মানব জাতির জন্য রহমত
আল্লাহ সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেন। হযরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে নবুওয়াতের শুরু এবং মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে তা সমাপ্ত হয়। তিনি সমগ্র বিশ্বের জন্য নবী হিসেবে মনোনীত এবং তার পরে আর কোনো নবী আসবেন না। তার উম্মতের দায়িত্ব হলো মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করা।
মহানবী (সা.)-এর আগমন পূর্ববর্তী আসমানি কিতাবগুলোতেও উল্লেখিত হয়েছে। তিনি মিথ্যার বিরুদ্ধে, সত্যের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন। রহমত হিসেবে এসেছেন। وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنٰكَ اِلَّا رَحۡمَۃً لِّلۡعٰلَمِیۡنَ আল্লাহ বলেন, হে নবী আমি তোমাকে সারা বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি। (সুরা আম্বিয়া ১০৭)
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়ায় এসেছিলেন মিথ্যা থেকে মানুষকে দূরে রাখতে। কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে, আমি আপনাকে সমগ্র জাতির জন্য সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে পাঠিয়েছি, অধিকাংশ মানুষ তা জানে না। (সুরা সাবা ২৮)
মানব জাতিকে লক্ষ্য করে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন, মুহাম্মদ তোমাদের পুরুষদের মধ্যে কারও পিতা নন। বরং তিনি হলেন আল্লাহর রসুল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত। (সুরা আল আহযাব ৪০)।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৫:২৮ ৩৮ বার পঠিত