সাম্প্রতিক বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষক ও কৃষি খাত। যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সময়সাপেক্ষ ও চ্যালেঞ্জিং বিষয়। তবে বন্যা পরবর্তী কৃষিখাতের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় নানামুখী পরিকল্পনা ও করণীয়র কথা জানিয়েছে সেন্টার ফর এগ্রিকালচারাল পলিসি স্টাডিজ।
শুক্রবার প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা।
সংগঠনের সভাপতি ড. মো মিজানুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় ফেনী ও নোয়াখালীসহ ১১ জেলার ৭৩টি উপজেলা প্লাবিত হয়। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হন প্রায় ১৪ লাখ কৃষক।ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। যার মধ্যে ধানের ক্ষতি প্রায় ২ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা। ধানের পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে শাকসবজির। বন্যায় বিভিন্ন মশলা, ফলবাগান, সবজি, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ও টমেটো, পানসহ ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৩৮২ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তাছাড়া বন্যায় মহাসড়ক বিপর্যস্ত হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের চলাচল কমে গেছে। এসব রাস্তা মেরামতে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের বাজেটের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।
কৃষকদের যদি পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে না করা যায়, তাহলে কৃষিপণ্য উৎপাদন ও দেশের খাদ্য নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, শত শত মানুষের ঘরবাড়ি, কৃষিজমি, মৎস্য খামারসহ অনেক সম্পদের ক্ষতি ক্ষতি পোষাতে ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করা প্রয়োজন। আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলা করার জন্য বিমাপত্র বা শস্যবিমার প্রচলন করা প্রয়োজন। শুধু শস্যই নয়, কৃষির অন্যান্য উপখাত গবাদিপশু ও মৎস্য খাতকেও কৃষিবিমার আওতায় আনা প্রয়োজন।
কৃষককে পুনর্বাসনের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার হয় আর্থিক সহায়তা ও মানসিক কাউন্সেলিং। যেসব প্রতিষ্ঠান কৃষককে সাহায্য করবে, তাদেরও আয়কর কমানোসহ প্রণোদনা দিতে পারে সরকার। বিশেষ করে বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৯:১৫ ১৫ বার পঠিত