দেশে সাম্প্রতিক বন্যায় আমনসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী জাপানের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সাক্ষাৎকালে এ সহযোগিতা চান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, দেশে সাম্প্রতিক বন্যায় আমনসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী জাপানের সহযোগিতা প্রয়োজন।
রাষ্ট্রদূত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জাপানের সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে বলেন, জাপান সরকারের ‘জাপান প্ল্যাটফর্মের’ আওতায় এনজিও এর মাধ্যমে বন্যা দুর্গত এলাকায় বিভিন্ন সেক্টরে সহযোগিতা দেবে। এজন্য সরকার জাপান প্ল্যাটফর্মকে দুই মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে।
বাংলাদেশ কৃষিতে অধিক উৎপাদন করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, সরকারের পাশাপাশি জাপানের বেসরকারি খাতও বাংলাদেশের কৃষি খাতের সাথে কাজ করতে আগ্রহী। বন্যার আগাম পূর্বাভাস ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপনে জাপান সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
বাংলাদেশে বসবাসরত জাপানি নাগরিক, জাপানের অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প ও ইপিজেডে জাপানের বিভিন্ন শিল্প কারখানার নিরাপত্তা বিষয়ে জাপানের উদ্বেগের কথা জানালে উপদেষ্টা এ বিষয়ে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলাপকালে কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার লক্ষে সরকার ইতোমধ্যে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। সে লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে চলমান অভিযানে সন্ত্রাসীদেরও গ্রেফতার করা হবে।
বাংলাদেশ পুলিশকে জনবান্ধব করতে জাপানের সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক প্রশিক্ষণ দিতে দেশটির আগ্রহের কথাও জানান রাষ্ট্রদূত। মিয়ানমার থেকে প্রত্যাগত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়ে আলাপকালে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও স্থানীয় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সবসময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে। সেখানে কাজ করা জাপানি নাগরিকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে থাকে।
এ বিষয়ে উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। তাদের নাগরিক দেশে নিরাপদ নয়। অপরাধীরা মিয়ানমারে মাদক উৎপাদন করে তা আমাদের দেশে পাচার করে। সরকার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশেপাশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে। পাশাপাশি মাদক পাচার রোধেও কঠোর অবস্থান নিয়েছে। মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে হবে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের দেশে ফেরত যেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:১৭:৩৬ ১৭ বার পঠিত