বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপি, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, পুলিশ ও প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হচ্ছে। এসব মামলার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সমন্বয়ক হাসনাত।
তিনি বলেন, দুদক স্বাধীনভাবে তাদের কাজ করবে।
এ সময় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমাদের নাম ব্যবহার করে কেউ যদি কোথাও চাঁদাবাজি করে তাহলে তাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, সমন্বয়কদের নামে যারা চাঁদাবাজি করছে তাদেরকে লকারবন্দি করতে হবে। গত ১৬ বছরে দুদকের ইমেজ সংকট তৈরি হয়েছিল, সেটা যেন তারা ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হয়। জনগণের আস্থা আসে। সেটা নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
এর আগে, দুপুর পৌনে ১টার দিকে সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আলাপ শেষে দুপুর দেড়টার দিকে তারা বেরিয়ে যান।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ এবং দলটির বিভিন্ন সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও দেশত্যাগে উঠেপড়ে লাগেন। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরদারি বাড়ায়। কোনো ধরনের অপরাধী যেন দেশ থেকে পালাতে না পারে সেজন্য কঠোর হয়। এমনকি দেশের বিভিন্ন জায়গায় হত্যা, নির্যাতন, অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় মামলা হতে থাকে। সেসব মামলায় আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাকর্মী, প্রশাসনসহ অনেককে আসামি করা হয়েছে। এমনকি ইতোমধ্যে কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী-এমপি গ্রেপ্তারও হয়েছেন সেসব মামলায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৮:১৩ ১২ বার পঠিত