নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান সহকারি রেজাউল করিম রানা, দীর্ঘদিন যাবত, শামীম ওসমান ও চন্দনশীল এর আশ্রয় প্রশ্রয়ে বহু অনিয়ম করেছেন, জেলা পরিষদের কর্মরত স্টাফদের প্রতি অনেক নিরব অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছেন ।
ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতেন না । রেজাউল করিম রানা শামীম ওসমান পরিবারের অনেক আস্থা ভাজন থাকায়, তিনি নারয়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের লক্ষ লক্ষ টাকা লুট করেছেন ।
জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি নেয়ার দায়ে, মুন্সিগঞ্জ কারাগারে তিনি জেল খেটেছেন । পরবর্তীতে শামীম ওসমানের তদবিরে তিনি জেল থেকে বের হয়ে আসেন ।
স্থানীয় সরকারের আইনকে অমান্য করে, শামীম ওসমানের অনৈতিক দাপটে পুনরায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদে পূর্ণবহাল থাকেন ।
এছাড়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ৭৯ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন রেজাউল করিম রানা । মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায় এখন পর্যন্ত ৩০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেছে রানা ।
বকেয়া ৫০ লক্ষ টাকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত এই লুটেরা রানার কাছ থেকে পাওনা আছেন ।স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জেলা পরিষদ সেকশন অফিসারের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন । একজন সরকারি কর্মচারী অপরাধের দায়ে জেল খেটে বের হয়ে আসলে প্রথমত আত্মসাৎ করা টাকা তাকে আগে পরিশোধ করতে হবে ।
তার পরে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিবে । পুনরায় তাকে সেই জেলায় পূর্ণ বহাল করার কোন নিয়ম নাই । তবুও তিনি বিভিন্ন অপকর্মের হোতা হয়েও দাপটের সহিত নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদে কর্মরত আছেন ।এই রেজাউল করিম রানা এখানেই থেমেছিল না, বৈষম বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনেকে রুখে দিতে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগকে অনেক অর্থায়ন করেছেন ।
এই মুখোশধারী রেজাউল করিম রানা, তিনি দালালিতে এত পটু, যে তার নিজের স্বার্থে, যে কোন মানুষের সাথে মুহূর্তে মিশে যেতে পারেন ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:১৪:৪৮ ২৩ বার পঠিত