মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ৫ তারিখকে যে চেতনা নিয়ে একটি বিপ্লব ঘটেছিল, সেই চেতনা নিয়েই আগামী ২৬ তারিখ আপনারা আপনাদের জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান উদযাপন করবেন। নারায়ণগঞ্জের সাতটি থানায় কোথায় কোথায় আপনাদের অনুষ্ঠান হবে আমাদের জানাবেন। আমাদের এটা কর্মীদের আপনাদের সাথে সম্পৃক্ত রাখবো। আপনাদের অনুষ্ঠান সময় হলে সোনারগাঁয়ে বিএনপির আপনাদের সাথে থাকবে। আড়াই হাজার অনুষ্ঠান হলে সেখানে নেতাকর্মীর আপনাদের সাথে থাকবে। কোন কিছু হলে আমাদের জানাবেন আপনারা আপনাদের ধর্ম স্বাধীন ভাবেই উদযাপন করবেন। যদি এটা কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
বুধবার (২১ আগস্ট) জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে জন্মাষ্টমীর প্রস্তুতিসভায় এ কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমার জন্ম হয়ে মাটিতে এবং আমাদের এখানে শিপন সরকারের জন্ম এই মাটিতে। কিন্তু ধর্মের কারণে তাদেরকে সংখ্যালঘু বলা হয় এটায় ব্যক্তিগতভাবে আমি দ্বিমত পোষণ করি। এটা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। ৫ ই আগস্ট দেশে যে পরিবর্তন হয়েছে সেটা ছাত্রের জনতার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। যে আন্দোলন হয়েছে সেখানে তুমি ধর্মের ভেদাভেদ ছিল না। যে সুফল আমরা অর্জন করেছি সেটা বাংলাদেশের সবার অর্জন। ধর্মীয় কারণে কেউকে এই সকল থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। তারা আমাকে বলেছেন ভালো মন্দ চিন্তা করার দায়িত্ব আপনার। কোনো অপরাধের কাছে মাথা নত করবেন না। নারায়ণগঞ্জে যে ৭ খুন হয়েছিল , সেখানে প্রধান খুন হয়েছিল যুবলীগের একজন সদস্য। সাত খুনের বিচার চেয়ে আমি আন্দোলন করেছি। আমাদের কিন্তু আন্দোলন করার কথা ছিল না। আমাকেও অনেক হুমকি দেওয়া হয়েছে। একবার যখন জন্মেছি মরতে আমাকে হবেই কিন্তু কোনো হুমকি আমি ভয় পাই না। অপরাধের বিরুদ্ধে নির্দ্ধিধায় কথা বলেছি। ছাত্রদের এই অর্জন কোনো দুষ্কৃতিকারীদের জন্য নষ্ট হয়ে এদেশের মানুষ দেবে না। কিছু দুষ্কৃতিকারীরা, লেবাস পাল্টিয়ে নিজেদের স্বার্থে অপকর্ম করতে চায়। কোন দুষ্কৃতিকারীদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মাঝখানে স্থান দেওয়া হবে না। যদি বিএনপি’র কেউ এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়, প্রমাণ আসলেই আমরা সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেবো।
এড সাখাওয়াত বলেন, আমরা এ নগরের অনেকগুলো মন্দির পরিদর্শন করেছি, বিভিন্ন সময় কোন তথ্য পেলে শেখানো উপস্থিত হয়েছি। আমি সাখাওয়াত ভেঙে যেতে পারি কিন্তু মচকাবো না। আমাদের নেতা তারেক রহমান এবং বিএনপি আপনাদের পাশে আছে। এখানে শিখন সরকার আছেন, বিভিন্ন রকমের নাশকতার সময় কারা ছিল সেটা একটা তালিকা করে জেলা প্রশাসককে দেন, এবং আমাদেরও একটা সুযোগ দেন আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আপনারা সব সময় নিজেকে বাংলাদেশের একজন বলে মনে করবেন। কোন দুষ্কৃতিকারী যদি কিছু ঘটনা চেষ্টা করে আপনারা মুখ বুঝে সহ্য করবেন না। আমাদের জানাবেন। আমি আপনাদের পাশে আছি বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারও আপনাদের পাশে আছে। আপনারা যে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করতে পারেননি সেটা আজ থেকে শুরু করে ফেলেন। ২৬ তারিখ যদি আপনাদের অনুষ্ঠান হয় তাহলে সেটা প্রস্তুতি এখন নিতে হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি এবছর না আগামী বছর আরো সুন্দর করে অনুষ্ঠান হবে। আপনারা এদেশের সম অধিকারের নাগরিক।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৭:১১ ২৬ বার পঠিত