পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশে বিদ্যুতের সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে। বিদুৎকেন্দ্র চালু করতে জাহাজে কয়লা আসছে। ভারতের আদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকেও বিদ্যুৎ আসছে। এরইমধ্যে কয়লাবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
শনিবার (১০ জুন) সকাল ১০টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎ জ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে হাওড়াঞ্চলে আগাম বন্যা ঠেকাতে করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন। তার কথার প্রতি আমার আস্থা আছে। যদি দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় তাহলে আমাকে ক্ষমা করবেন।
হাওর এলাকার আগাম বন্যা প্রসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, আমরা জলাভূমির মানুষ। গত ১৫ বছরে হাওর এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের জন্য আমদের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রয়োজন। আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও গ্রহণ করবে না জনগণ। আগাম বন্যা রোধে আমাদেরকে সহনশীল হয়ে চলতে হবে। প্রকৃতিকে বাধা দিয়ে টেকা যাবে না। প্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ শামীমা আক্তার খানম, জেলা প্রশাসক দিদারের আলম মোহাম্মদ মাকসুদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, জেলা কৃষকদলের সভাপতি আনিসুল হক, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি সেলিম আহমদ প্রমুখ।
গোলটেবিল বৈঠকে হাওড়াঞ্চলে আগাম বন্যা দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণ, একমাত্র বোরো ফসল রক্ষায় টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ, নদী খনন, বাঁধ ও সড়ক অবকাঠামো তৈরি করে পানি প্রবাহ নষ্ট ও হাওড়াঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি কুমার সৌরভ ভূষণ। বৈঠকে স্থানীয় জনপ্রতি, গণমাধ্যমকর্মী, কৃষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩০:২৬ ৩৭ বার পঠিত