জামালপুরে ছাত্রলীগের সমাবেশে হামলার অভিযোগে পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জামালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুম রেজা রহিম এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু স্বাক্ষর করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে পাওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৬ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে পৌর ছাত্রলীগের আয়োজনে স্টেশন চত্বরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলছিল। এ সময় পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অর্তকিত হামলা চালায়।
হামলায় পৌর ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক শাহরিয়ার ইসরাম নীরবসহ তিন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন। এতে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। তার এমন কর্মকাণ্ডে সংগঠনের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। সেই সঙ্গে চলমান তথাকথিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার পতনের যে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে; প্রকারন্তরে ষড়যন্ত্রকারী জামায়াত-বিএনপির দোসর হিসাবে মোয়াজ্জেম হোসেন এহেন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। এ অভিযোগে সংগঠনের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবিরুল ইসলাম খান বাবু বলেন, ‘আমরা সোমবার (১৫ মে) রাতে জামালপুর জেলা ছাত্রলীগ মঙ্গলবার সকাল ১০টার কর্মসূচী ঘোষণা করি। কোটা আন্দোলনের নামে যারা দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে তারা রেলপথ অবরোধ করবে জেনে সেখানে পৌর, কলেজ ছাত্রলীগকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলাম। আমি শেষ মুহূর্তে যখন বক্তব্য দিচ্ছি, ঠিক তখনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোয়াজ্জেম ও তার ভাতিজা তানজিদসহ বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায়।’
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩০:৫৭ ১৪ বার পঠিত