উৎপাদন খরচ অনুযায়ী ন্যায্য মজুরি না পাওয়া ও মালিকদের অসহযোগিতার কারণে উৎপাদন বন্ধ রেখে সারা দেশের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন নিটিং কারখানার শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়। ফতুল্লার বিসিক শিল্প নগরীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত সাড়ে চার শতাধিক নিটিং ও কলার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রেখে এই কর্মবিরতি পালন করছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক এবং অর্ধ লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারীরা।
সরেজমিনে ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরী ঘুরে দেখা গেছে, সব নিটিং কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রেখে অলস সময় পার করছেন শ্রমিক ও কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি সেলিম সারোয়ার জানান, ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমদানি নির্ভর কাঁচামালের দাম, ফ্লোর ভাড়া, শ্রমিকদের মজুরি, নিটিং মেশিনের এক্সেসরিজের মূল্য, পরিবহন খরচ ও দফায় দফায় বিদ্যুতের বিল বাড়ানোর হয়েছে। এতে তাদের কারখানা চালিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি থান কাপড় উৎপাদন খরচ অনুযায়ী গার্মেন্টস কারখানার মালিকরাও ন্যায্য মজুরি দিচ্ছেন না। তাদের অবহেলা ও অসহযোগিতার কারণে নিটিং শিল্প রুগ্ন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়ে সারা দেশে ৩০ শতাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। চলমান আড়াই হাজার নিটিং কারখানায় আড়াই লক্ষাধিক শ্রমিক কর্মচারী ও মালিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।
তিনি বলেন, ‘আমরা কর্মবিরতি পালন করতে চাইনি। আমরা গার্মেন্টস মালিকদের সহযোগিতা না পেয়ে সব কারখানার মালিকদের দাবির কারণে বাধ্য হয়েছি এই কর্মসূচি দিতে। আমরা বিকেএমইএর সভাপতি সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এবং নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তারা সুদৃষ্টি দিলে আমাদের সমস্যা তারা সমাধান করে দিতে পারেন।’
এর আগে গত ১৩ জুলাই ফতুল্লায় বিসিক শিল্পনগরীতে বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সভায় সব কারখানা মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে এই কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন সভাপতি সেলিম সারোয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৯:৪০ ৫৪ বার পঠিত