সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তালেবান রাশিয়ার মিত্র বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন-এসসিও’র শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিন এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় সাংহাই কো-অপারেশন এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনেও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও উন্নয়ন জোরদার নিয়ে আলোচনা করেন নেতারা। এদিন বেশ কয়েকটি দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।
এসময় তিনি বলেন,
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তালেবান রাশিয়ার মিত্র। তালেবান যেহেতু আফগানিস্তানে ক্ষমতায় রয়েছে, দেশটিতে তারা স্থিতিশীলতা চায়। এই হিসেবে অবশ্যই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মস্কোর মিত্র হতে পারে তালেবান।
মূলত ২০০৩ সাল থেকে তালেবানকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করলেও, গেল কয়েক বছর ধরে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলছে রাশিয়া। গত মাসে তালেবান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে নির্দেশ দেন পুতিন।
এদিকে চলমান বৈশ্বিক ব্যবস্থায় পরাশক্তিগুলোর মধ্যে ক্রমেই শীতল যুদ্ধের মানসিকতা বাড়ছে উল্লেখ করে, এসসিও’র সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এসব হুমকি থেকে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
এতে এসসিও’র সদস্যদের নিজেদের মধ্যে আঞ্চলিক অর্থনীতির অভ্যন্তরীণ গতি বজায় রাখা, ঐক্য সুসংহত করা এবং বাইরে থেকে কেউ হস্তক্ষেপ করতে চাইলে তার বিরোধিতা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন চীনা প্রেসিডেন্ট।
পশ্চিমাবিরোধী জোটকে শক্তিশালী করতে ও কৌশলগত মধ্য এশিয়া অঞ্চলে প্রভাব বাড়াতে গেল বুধবার কাজাখস্তানের আস্তানায় শুরু হয় দুই দিনব্যাপী এসসিও’র ২৪তম শীর্ষ সম্মেলন। এতে যোগ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফসহ জোটের শীর্ষ নেতারা।
এতে গুরুত্ব পায় বহুপাক্ষিক টেকসই স্থিতিশীলতা অর্জন, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি। বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবিলায় সহযোগিতার কর্মসূচি ও মাদকবিরোধী কৌশলের বিষয়েও জোটের নেতারা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৪:৩৫ ১৫ বার পঠিত