খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ব্যালান্সিং মর্ডানাইজেশন রিহেবিলেশন এন্ড এক্সপানশন (বিএমআরই) সম্পন্ন হওয়ার ফলে আশুগঞ্জ সাইলো তার আগের কর্মক্ষমতা ফিরে পেয়েছে। যন্ত্রপাতিসমূহ সম্পূর্ণ নতুন হওয়ায় প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ৫ শ’ মেট্রিক টন গম গ্রহণ ও বিতরণ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া আশুগঞ্জ সাইলো মাত্র ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন ও মেরামত করা হয়েছে। নতুন সাইলো নির্মাণ ব্যয়বহুল। সরকারি অর্থ সাশ্রয় আমাদের লক্ষ্য। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সাইলো প্রাঙ্গণে আশুগঞ্জ সাইলোর বিএমআরই’র সফল সমাপ্তিতে সাইলো উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ এক সরকারি তথ্যবিবরণীতে একথা বলা হয়।
মন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিয়ে দেশে সংকট নেই। এখন পুষ্টিকর আর নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ। জনগণের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। সরকারি খাদ্য গুদামে ধারণ ক্ষমতা বর্তমানে প্রায় ২৩ লাখ মেট্রিক টন। আগামী জুনের মধ্যে এ ধারণক্ষমতায় আরো সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন যুক্ত করা হবে। এছাড়া, সারাদেশে পুরাতন জরাজীর্ণ গুদাম সংস্কারের প্রকল্প নেয়া হয়েছে। কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ধারণ ক্ষমতা ৩০ লাখ মেট্রিক টন হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব বাংলাদেশ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় সাফল্য অর্জন করেছে। আশুগঞ্জের মতো কৌশলগত স্থানে সাইলো নির্মাণের ফলে এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে গম বিতরণ করা সহজ হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন খাদ্য সচিব মো: ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ সাইলো সুপার খন্দকার সিরাজুস সালেকিন।
পরে মন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৯:০১ ১৪ বার পঠিত