একসময় দেশের আর্থিক অবস্থা দুর্বল ছিল। উন্নয়নের মূলস্রোতে আনতে শিল্পায়ন করতে হয়েছে, গড়ে তোলা হয়েছে শিল্প কারখানা। তাই উন্নয়নের এই গতি থামিয়ে রাখার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে `বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে বহু অংশীজনের পরামর্শ’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, বায়ু দূষণ শুধু আমাদের নিজস্ব ভৌগলিক সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আমরা যদি নিজ ভৌগলিক সীমানা দূষণ মুক্ত করি তবুও বায়ু দূষণমুক্ত হবে না। কারণ, সারাবিশ্বে যেভাবে যুদ্ধ হচ্ছে, এতে প্রতিনিয়ত দূষণ হচ্ছে। এগুলো বিভিন্ন উপায়ে আমাদের পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এরপরও অভ্যন্তরীণ দূষণের হার বেশি। এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণের সুযোগ নেই।
শিল্পোন্নত দেশগুলো কোনরকম জবাবদিহিতা ছাড়াই অতিমাত্রায় শিল্পায়ন করে পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, পুরো বিশ্বকেই উন্নত দেশগুলো দূষিত করে তাদের উন্নত অবস্থা সৃষ্টি করেছে। এখন তারা উপলব্ধি করছে তাদের শিল্পায়নের ফলে পরিবেশের ওপর যে, নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তা মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে স্বপ্ন আমরা দেখছি তার জন্য সবাই কাজ করছি। কৃষিক্ষেত্রে নিত্যনতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, শতভাগ বিদ্যুতায়ন অর্জিত হয়েছে, নিত্যনতুন প্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হচ্ছে।
উন্নয়নের গতির সাথে পরিবেশ তথা বায়ু দূষণ রোধ জরুরি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এজন্য নানা রকম আইন, বিধি মালা রয়েছে। এসব আইনের যথাযথ ব্যবহার ও বাস্তবায়ন খুবই জরুরি। মনে রাখতে হবে বায়ু দূষণ রোধ করতে না পারলে, সবাই ভুক্তভোগী হবো। এজন্য সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের ইম্প্রুভমেন্ট অব আরবান পাবলিক হেলথ্ প্রিভেন্টিভ সার্ভিসেস্ (আইইউপিএইচপিএস) প্রজেক্টের আয়োজনে কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম। এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র মো. রেজাউল করিম, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, গাজীপুর সিটি করপোরেশন মেয়র জায়েদা খাতুনসহ আরও অনেকে৷
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪৩:৩০ ২২ বার পঠিত