নীলফামারীতে উৎপাদিত হচ্ছে মুক্তা। মিঠাপানিতে মাছের সঙ্গে ঝিনুক চাষ করে বাণিজ্যিকভাবে মুক্তা উৎপাদন করছেন চাষিরা।
উত্তরের জেলা নীলফামারীর ডোমারে মিঠাপানিতেই ঝিনুক চাষ হচ্ছে। সেই ঝিনুক থেকেই মূল্যবান মুক্তা পাওয়া যাচ্ছে।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে সোনারায় ইউনিয়নের জুলফিকার রহমান বাবলা বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ নেয়ার সময় প্রথম মিঠাপানিতে ঝিনুক চাষ সম্পর্কে জানতে পারেন। প্রশিক্ষণ শেষে এলাকায় ফিরে নিজ পুকুরে মাত্র ছয়টি ঝিনুক দিয়ে পরীক্ষামূলক মুক্তা চাষ শুরু করেন তিনি।
পরে সাফল্য পেয়ে বড় আকারে ৬৫০টি ঝিনুক দিয়ে প্রায় ৫০০টি মুক্তা উৎপাদন করেন। তবে প্রথম দিকে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাকে। তবে সমস্যা কাটিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ টাকার মুক্তা বিক্রি করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে মুক্তাচাষি জুলফিকার রহমান বাবলা বলেন, ‘একটি ঝিনুকে আমার ৭০ টাকা খরচ পড়ে। কিন্তু আমি বিক্রি করছি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা।’
তার দেখাদেখি এলাকার অনেকেই ঝিনুক চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এমনই একজন বলেন, ‘জেলায় জুলফিকার রহমান বাবলা প্রথম মুক্তা চাষ শুরু করেন। তার কাছ থেকেই আমি মুক্তা চাষ করা শিখেছি।’
এদিকে মুক্তা উৎপাদনের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করার পাশাপাশি পণ্যটি রফতানি সম্ভব বলে জানিয়েছেন নীলফামারীর সৈয়দপুর মৎস্য গবেষণা কেন্দ্রের প্রিন্সিপাল সিনিয়র অফিসার ডা. আজহার আলী। তিনি বলেন, ‘যত ধরনের কারিগরি সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন, তা দিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। পাশাপাশি মুক্তা বিক্রিতেও আমরা চাষিদের সহযোগিতা করে থাকি।’
উল্লেখ্য, জেলার ডোমারে প্রায় ২৭ জন মিঠাপানির মুক্তাচাষি রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৪৮:৩৮ ৪৪ বার পঠিত