প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সাহায্য চেয়েছিল ইরান। তবে এতে সাড়া দেয়নি দেশটি।
সোমবার (২০ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
ম্যাথিউ মিলারের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, ইরান সহায়তা চাওয়ার পরও লজিস্টিক্যাল কারণে সেই সহায়তা করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে ইরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে কীভাবে যোগাযোগ হলো, তা বলতে অস্বীকৃতি জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র।
রোববার (১৯ মে) ম্যাথিউ মিলার বলেন, ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইরানকে বলা হয়, এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিদেশি সরকারের অনুরোধে তারা সাড়া দেয়। তবে তারা মূলত লজিস্টিক্যাল কারণে ইরানের সাহায্যের অনুরোধে সাড়া দিতে পারেনি।
রাইসি ও তার সঙ্গীদের মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়েছে ওয়াশিংটন। অবশ্য রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হাত নেই বলে জানান দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। এছাড়া এ দুর্ঘটনার কোনও কারণও জানা নেই বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, রোববার রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ইরানের সীমান্তবর্তী পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পর্বতঘেরা ভারজাগান এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এ সময় হেলিকপ্টারটিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। সোমবার সকালে ১৬ ঘণ্টার বেশি সময় উদ্ধার তৎপরতার পর হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর রাইসিসহ হেলিকপ্টারটির সব আরোহীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে ইরান সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৪০:৩৬ ১২ বার পঠিত