পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, টিআইবি ও সিপিডি পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অনেক কথা বলেছে। কিন্তু, কানাডার আদালতে তা মিথ্যা প্রমাণ হলেও এ সংস্থাগুলো কোনো ভুল স্বীকার করেনি৷
সোমবার (১৩ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,
টিআইবি ও সিপিডি পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে অনেক কথা বলেছে। সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংস্থাগুলোর প্রধানরা। কিন্তু, কানাডার আদালতে তা মিথ্যা প্রমাণিত হলেও এ সংস্থাগুলো কোনো ভুল স্বীকার করেনি৷ পদ্মা সেতু কেন্দ্রিক দুর্নীতির অভিযোগ এবং তা মিথ্যা প্রমাণের পর বিশ্বব্যাংক কিন্তু রেলসেতুতে অর্থায়ন করেছে। এ পুরোটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে হয়েছে।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক চমৎকার। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা, ভিসা নীতি সম্পর্কে কিছুটা রেখাপাত করেছে-এ নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সমস্ত পশ্চাৎপদতা, কূপমণ্ডকতা, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে মানবতা ও দেশপ্রেম নিয়ে দেশে একটা সাংস্কৃতিক জাগরণ দরকার।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,
সেই সময়কার গান, যে রকম অনুপ্রেরণা জোগাত মুক্তিকামী মানুষ ও দেশবাসীকে; আজও সেই গান বাজলে আমি দাঁড়িয়ে যাই। সেই গানগুলো এখনো আবেদনময়ী। সেইজন্য জাতি গঠনের জন্য গান-কবিতা নাটক দরকার, যেটি এখন তেমনভাবে হচ্ছে না। একটা সময় ছিল সমাজ পরিবর্তনে গান-কবিতা নাটক; যেভাবে মানুষকে জাগিয়ে তুলেছে, কেন জানি এখন সেভাবে হচ্ছে না। দেশে একটি প্রচণ্ড সাংস্কৃতিক আন্দোলন দরকার। সমস্ত পশ্চাৎপদতা, কূপমণ্ডকতা পেছনে রেখে, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ ও উদ্বুদ্ধ করার জন্য একটি প্রচণ্ড সাংস্কৃতিক জাগরণ দরকার।
তিনি আরও বলেন, দেশে একটি প্রচণ্ড সাংস্কৃতিক জাগরণ দরকার এবং সেটি পশ্চাৎপদতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। আর মানবতা ও দেশাত্ববোধের পক্ষে এবং মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য একটি প্রচণ্ড সাংস্কৃতিক জাগরণ দরকার।
এ সময় বিএনপি নেতাদের আন্দোলনের সমালোচনা করে হাছান বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে ডাক দিয়েছিল তারা তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। যারা ডাক দিয়েছিলেন, তাদের বাড়িতেই ভারতীয় পণ্য বেশি আছে। আবার ভারতীয় বউও আছে। এসব করে তারা জনবিচ্ছিন্ন হবে।
বিএনপি মহাসচিবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, তার সঙ্গে অন্যান্য যেসব দল আছে, তার নাম যদি তিনি বলতে পারেন, তাহলে আমি খুশি হব।
মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কিছুটা সমস্যা তৈরি করেছে। কিন্তু, এটাকে প্রত্যাবাসন না করার অজুহাত হিসেবে দাঁড় না করানোর কথাও বলেন তিনি।
পদ্মা সেতু নিয়ে রচিত বইটি যারা লিখেছেন ও সম্পাদনা করেছেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই সবাইকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৬:০৮ ১৯ বার পঠিত