জেলার শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে আজ কবি গুরুর ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে দুদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন হয়েছে।
বেলা সাড়ে ১১ টায় কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাংসদ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ এ অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, পুলিশ সুপার এ এইচ এম আব্দু রকিব।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ এহেতেশাম রেজার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় রবীন্দ্রনাথের গান,কবিতা ও সাহিত্য জীবন নিয়ে আলোচনা করেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সরোয়ার মুর্শেদ রতন।
কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কুষ্টিয়ার শিলাইদ কুঠিবাড়ীতে না আসলে তাঁর বিশ্বখ্যতি যেমন অর্জন হতো না, তেমনি ভাবে শিলাইদহের কুঠিবাড়ী রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য জীবনকে আরও খ্যাতিমান করে তুলেছে। তাই কবি গুরুর জীবনে শিলাইদহের গুরুত্ব অনেক বলে মন্তব্য করেন আলোচনা সভায় বক্তারা। আলোচনা সভা শেষে বিকেলে কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমি, রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে রবীন্দ্র সংগীত, কবিতাসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠারেন আয়োজন করা হয়েছে ।
দুদিন ব্যাপী উৎসবে দেশ ও দেশের বাইরের প্রায় ৫৯ টি রবীন্দ্র সংগীতের দল সংগীত, নাটকসহ বিভিন্ন আয়োজন পরিবেশন করবে বলে জানা গেছে। রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে কুঠিবাড়ীর আঙ্গিনায় বৃষ্টি ভেজা পরিবেশে নারী-পুরুষ, শিশু, কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষের ভিড় পড়েছে। তবে দুটি উপজেলায় নির্বাচন থাকায় মানুষের উপস্থিতি কিছুটা কম।
উল্লেখ্য, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮০৭ সালে এ অঞ্চলে জমিদারি পান। কবিগুরু ১৯০১ সাল পর্যন্ত শিলাইদহে জমিদারি পরিচালনা করেন। পদ্মা পাড়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে মুগ্ধ কবি একে একে রচনা করেন সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালীসহ বিখ্যাত সবগ্রš’। কুঠিবাড়ির এ কুঠিরে বসেই করেন গীতাঞ্জলি কাব্যের অনুবাদ। যে কাব্য দিয়েই ১৯১৩ সালে সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন ভানুসিংহ ছদ্ম নামের রবীন্দ্রনাথ। অসংখ্য গান, কবিতা, চিঠি, চিত্রকর্ম ও সাহিত্য শিলাইদহকে করেছে রবীন্দ্রসাহিত্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৪:১৫ ১৭ বার পঠিত