মিশরের সাথে লাগোয়া প্রধান সীমান্ত ক্রসিং দখল করে নেওয়ার পর বুধবার ইসরায়েল গাজা উপত্যকার বিভিন্ন অবস্থানে নতুন করে হামলা চালিয়েছে। এদিকে মিশরে আলোচকরা যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে তাদের শেষ সুযোগ ভালভাবে কাজে লাগাতে কাজ করে যাচ্ছেন। খবর এএফপি’র।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনের আপত্তি সত্ত্বেও সীমান্তবর্তী নগরী রাফায় স্থল অভিযান শুরু করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করার কয়েক সপ্তাহ পর ইসরায়েল এর সীমান্ত ক্রসিং দখল করে নেয়। ক্রসিংটি অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনে সাহায্য সরবরাহের প্রধান করিডোর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
হোয়াইট হাউস মানবিক সাহায্য বিতরণে বাধা সৃষ্টি করায় ইসরায়েলের নিন্দা করেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এক সিনিয়র কর্মকর্তা পরে প্রকাশ করেন যে ওয়াশিংটন ইসরায়েলের জন্য বরাদ্দ করা বোমার একটি চালান স্থগিত করেছে। ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের রাফাহ পরিকল্পনা নিয়ে তাদের উদ্বেগের সমাধান করতে ব্যর্থ হওয়ার পর তারা গত সপ্তাহে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
আলোচক এবং মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে চলা সাত মাসের যুদ্ধে একটি জিম্মি মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি পালন চুক্তি করতে কায়রোতে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ইসরায়েল ফিলিস্তিনের দক্ষিণাঞ্চলীয় এ নগরীতে নতুন করে এ হামলা চালালো। হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, হামাসের হাতে এখনো জিম্মি থাকা নাগরিকদের মুক্তির ক্ষেত্রে এটি হবে ইসরায়েলের জন্য ‘শেষ সুযোগ’।
মঙ্গলবার মিশরের আল-কাহেরা নিউজ জানায়, কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
পরে সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, ইসরায়েলসহ ‘সব পক্ষ’ ফের আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে।
ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও প্রধান সামরিক সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা আশাবাদী এক্ষেত্রে দুই পক্ষই ‘বাকি মতপার্থক্যগুলো মিটিয়ে ফেলতে’ পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৮:৫৪ ১৫ বার পঠিত