ডেঙ্গুর জরুরি পরিস্থিতিতে স্যালাইনের দাম বৃদ্ধি ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ডেঙ্গু প্রস্তুতি নিয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুর জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসার প্রধান উপকরণ শিরায় দেয়ার স্যালাইনের দাম বৃদ্ধি বা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হলে সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, এবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আগেই ইনজেকশন স্যালাইন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্ভাব্য চাহিদাপত্র সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে। এরপরও জরুরি ডেঙ্গু পরিস্থিতির মুহূর্তে কোনো ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্যালাইন নিয়ে সিন্ডিকেট করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সব হাসপাতালে স্যালাইনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার তাগিদ দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব রোগের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে যাতে রোগটি কারও হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করা যায়। যাতে মানুষের ডেঙ্গু না হয় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। মশা নির্মূলে সবাই এক সঙ্গে কাজ করবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন এবং যে ঘরে মানুষ থাকে সেখানকার সবাইকেই সচেতন থাকতে হবে।
তিনি বলেন, কারও একার পক্ষে ডেঙ্গু মোকাবিলা সম্ভব না। এবার গ্রাম পর্যায়ে ডেঙ্গু পৌঁছালে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে হাসপাতালগুলোয় ডেঙ্গু আক্রান্তদের প্রাধান্য দিতে হবে।
আর ডেঙ্গু ঢাকা শহরের বাইরে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে এ বছর নানা ধরনের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ফগিংয়ে ছেটানো ওষুধের কারণে মশা মরে না, বৈজ্ঞানিকদের এমন তথ্য আমলে নেয়া হয়েছে। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে এবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়ে কাজ শুরু হবে।
ডেঙ্গুর সময় হাসপাতালগুলোর প্রস্তুতি নিয়ে সামন্ত লাল সেন বলেন, ডেঙ্গু প্রকোপে রোগী বাড়লে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালকেও প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ডেঙ্গুতে নিজের মাকে হারিয়েছেন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আমার চিন্তা আছে। আমি কাজ করব যাতে আর কারও মা এতে মারা না যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:২৪:১৭ ২৭ বার পঠিত