গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র্য মুক্ত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হচ্ছেন। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে একটি প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা শেখ হাসিনার এই লড়াইয়ে পরস্পরের সাথী হব।
আজ পূর্ত ভবনের সেমিনার কক্ষে ৪১তম বিসিএস (গণপূর্ত) ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী নতুন কর্মকর্তাদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, দেশপ্রেম থাকলে যেকোনো কাজ করা সম্ভব। তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর দেশ গড়ে তুলতে সবাইকে দায়িত্বশীল হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
মনুষ্য সন্তানদের দ্বারা পৃথিবীর সব কাজই সম্পন্ন করা সম্ভব। যারা চাঁদে যাচ্ছে, ইন্টারনেট আবিষ্কার করেছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন নতুন আবিষ্কারের মাধ্যমে যারা পৃথিবীকে সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন, তারা সবাই আমাদের মতো মানুষ ছিলেন। সুতরাং তারা যদি পারেন, আমরা কেন পারবো না? বলেন তিনি।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এটি অর্জন করতে পেরেছি। বর্তমান প্রজন্মকেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য রাষ্ট্র রেখে যেতে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে। কর্মক্ষেত্রে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে।
ঠিকাদাররা কাজের গুণগত মান বজায় রেখে কাজ সম্পন্ন করছেন কি না তা সঠিকভাবে তদারকি করতে গণপূর্তের নতুন কর্মকর্তাদের তিনি পরামর্শ দেন। এ সময় প্রত্যেক কর্মকর্তাকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নিষ্ঠার সাথে কাজ করলে সততার জন্য আহাজারি করতে হয় না, সততা অটোমেটিক্যালি চলে আসে, দেশপ্রেম নিয়ে ভাবতে হয় না, দেশপ্রেম আপনা আপনি আসে, ভবিষ্যৎ বংশধরদের কথা চলে আসে। তিনি সময়ের কাজ সময়ে, দিনের কাজ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন। কোনো কাজ অন্যের জন্য ফেলে না রেখে দ্রুততার সাথে নিজ দায়িত্বে সম্পাদনের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সকল কাজে পরিবেশের সুরক্ষা সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে হবে। বিশ্বব্যাপী পরিবেশ নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে তা গুরুত্বের সাথে আমাদের বিবেচনা করতে হবে। কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে বাংলাদেশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় রয়েছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শামীম আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নবীরুল ইসলাম। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান। প্রসঙ্গত ৪১তম বিসিএসের মাধ্যমে গণপূর্ত ক্যাডারে মোট ৪৭ জন কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন। এর মধ্যে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ৩৪ জন এবং সহকারী প্রকৌশলী (ইএম) ১৩ জন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০২:৩৬ ১৬ বার পঠিত