গুণী সব নির্মাতার ফোন পেয়ে ভালো লাগছে : মন্দিরা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » গুণী সব নির্মাতার ফোন পেয়ে ভালো লাগছে : মন্দিরা
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪



গুণী সব নির্মাতার ফোন পেয়ে ভালো লাগছে : মন্দিরা

ঈদের দিন থেকে তিনি ‘নায়িকা মন্দিরা’। কারণ এবারের ঈদে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’য় অভিষেক ঘটেছে মন্দিরা চক্রবর্তীর। পর্দায় নিজেকে কেমন দেখলেন? সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন সুদীপ কুমার দীপের কাছে।

তিনবার দেখেছেন ‘কাজলরেখা’
এরই মধ্যে ‘কাজলরেখা’ হলে গিয়ে দেখেছেন মন্দিরা।
তা-ও এক-দুবার নয়, তিনবার। প্রথমবার বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে, পরের দুবার দেখেছেন মাল্টিপ্লেক্সটির সীমান্ত সম্ভার ও এসকেএস টাওয়ার শাখায়। দর্শক সারিতে বসেই জেনেছেন সবার প্রতিক্রিয়া। “আমি সারাক্ষণ পাশের দর্শকদের দিকে খেয়াল রেখেছি।
প্রতিটা দৃশ্যে তাঁদের প্রতিক্রিয়া বোঝার চেষ্টা করেছি। ‘কাজলরেখা’ তো মিউজিক্যাল ফিল্ম। গানই ছবির বড় আকর্ষণ। হলে বসে দেখলাম, দর্শক গানগুলো খুব উপভোগ করছেন।
কয়েকটি গানে অনেকে গলাও মিলিয়েছেন। এটা অন্য রকম এক অভিজ্ঞতা”, বললেন মন্দিরা।

নির্মাতাদের ফোন
ঢাকাই চলচ্চিত্রের অনেক নির্মাতাই ‘কাজলরেখা’ দেখেছেন। অনেকে এরই মধ্যে মন্দিরাকে ফোন করেছেন। নতুন ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন।
তবে মন্দিরা কাউকে এখনো ‘হ্যাঁ’ বলেননি। মন্দিরা বলেন, “আরো সময় নিতে চাই। এখনই কোনো ছবি হাতে নিচ্ছি না। ‘কাজলরেখা’র পর ‘নীলচক্র’ মুক্তি পাবে। সেটিও দেখুক সবাই। আমিও রেজাল্টটা দেখি। তারপর না হয় নতুন ছবি হাতে নেব। তবে গুণী সব নির্মাতার ফোন পেয়ে ভালো লাগছে। কিছু একটা করতে পেরেছি, এমনটা মনে হয়েছে।’

এক শতে এক শ
শুটিংয়ের আগে এক বছর ধরে ছবির পুরো টিমকে গ্রুমিং করিয়েছিলেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। মন্দিরাও সেই গ্রুমিংয়ে ছিলেন। তিনি প্রথম থেকেই চেষ্টা করেছেন ‘কাজলরেখা’ হয়ে উঠতে। পর্দায় নিজেকে দেখে বিচারও করেছেন মন্দিরা। বলেন, “কল্পনার কাজলরেখার সঙ্গে বাস্তবের কাজলরেখাকে তুলনা করেছি। পর্দায় নিজেকে এক শতে এক শই দেব। ছবিটি যাঁরা দেখেছেন বেশির ভাগই কাজলরেখার প্রশংসা করেছেন। অনেকে বলেছেন, ‘আমি নাকি সঠিক কাস্টিং ছিলাম। তাঁদের প্রতিক্রিয়া জেনে ভালো লেগেছে। আসলে সেলিম ভাই বরাবরই খুঁতখুঁতে মানুষ। তিনি কোনো কিছু শতভাগ না হলে মেনে নেন না। আমাকে কাজলরেখা হিসেবে শতভাগ প্রস্তুত করেই তারপর ক্যামেরা ওপেন করেছেন।”

দর্শক কারা
মন্দিরার মতে, ‘কাজলরেখা’ দেখা দর্শকের ৯০ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী। তা ছাড়া বিভিন্ন নাট্যাঙ্গনের ছেলেমেয়েরাও ছবিটি দেখছেন। মন্দিরা বলেন, ‘ছবিটি দেখার পর অনেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকও আছেন তাঁদের মধ্যে। আমার মনে হয় এই ছবিটার মাধ্যমে শিক্ষিত শ্রেণি আবার হলে ফিরেছেন। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।’

সামনের সপ্তাহে সারা দেশে
ঈদে শুধু মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে মুক্তি পেয়েছে ‘কাজলরেখা’। আগামী সপ্তাহে সারা দেশের সিঙ্গল স্ক্রিনগুলোতে ছবিটি মুক্তি পাবে। মন্দিরা বলেন, “আমি সেলিম ভাইয়ের কাছে শুনেছি, ছবিটি সারা দেশে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সারা দেশে মুক্তি পেলে অনেক ভালো লাগবে। ছবিটা লোকগল্পের। গ্রামের মানুষ এই ধরনের গল্প খুব পছন্দ করেন। সিঙ্গল স্ক্রিনগুলোতে ছবিটি চললে তাঁরা দেখার সুযোগ পাবেন। সারা দেশে তখন ‘কাজলরেখা’র জয়জয়কার ছড়িয়ে পড়বে।” মন্দিরা জানান, খুব শিগগির দেশের বাইরে আন্তর্জাতিকভাবেও ছবিটি মুক্তি পাবে। তখন ছবিটির প্রচারণায় হয়তো দেশের বাইরেও যেতে হতে পারে তাঁকে।

বাংলাদেশ সময়: ১২:৩৭:৪২   ৪৫ বার পঠিত  




ছবি গ্যালারি’র আরও খবর


আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন ৭ জানুয়ারি
বার্সেলোনা শিবিরে আবারও চোটের ধাক্কা
ভারোত্তোলনে ৯০ বছর বয়সি নারীর চমক



আর্কাইভ