চারপাশে এত রং, গানবাজনা, ছবি আঁকাআঁকি আর সব মিলিয়ে মানুষের আতিথেয়তায় মুগ্ধ নরওয়ের বাসিন্দা স্টুয়ার্ট ও তার পরিবার।
রোববার (১৪ এপ্রিল) প্রথমবারের মতো স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নববর্ষের আয়োজনে ঘুরতে আসেন স্টুয়ার্ট। নিজের অনুভূতির কথা জানিয়ে বলেন, ‘এই প্রথম বাংলাদেশে আসা আর এসেই এমন একটি উৎসবে শামিল হওয়া। নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।’
স্টুয়ার্টের স্ত্রী মারথা বলেন, ‘এ দেশের সবাই খুব ভালো। আমরা নববর্ষের আয়োজনে যাব শুনে আশপাশের বাঙালি বন্ধুরা বলল শাড়ি-পাঞ্জাবি পরে যেতে। আমি শাড়ি পড়তে পারি না বলে সালোয়ার পরেছি। আর স্টুয়ার্ট শখ করে পাঞ্জাবি পরেছে।’
স্টুয়ার্ট বলেন, ‘পাঞ্জাবি পরে নিজেকে বাঙালি বাঙালি মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে আমি আপনাদেরই লোক। আপনারাও এতটা আপন করে নিয়েছেন। মনে হচ্ছে নিজ দেশের কোনো উৎসবে এসেছি। এভাবেই প্রতিটি উৎসব আমাদের এক করে দেয়।’
বাচ্চাদের অনুভূতির কথা জানিয়ে মারথা বলেন, ‘আমার ছেলে সাধারণত হাঁটাহাঁটি পছন্দ করে না। কিন্তু আজ মেলায় এসে ওর ক্লান্তি যেন হারিয়ে গেছে। হাঁটছে, খেলছে, দৌড়াচ্ছে। আমারও দেখে খুব ভালো লাগছে।’
এক বছরের জন্য বাংলাদেশে কাজ করতে আসা স্টুয়ার্ট ও তার পরিবার জানায়, ভবিষ্যতেও তারা এমন আয়োজনে শামিল হতে চান। বরফ শীতল নরওয়ের বাসিন্দা হয়েও ওম নিতে চান বৈশাখের উষ্ণতার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৩:৫৬ ৩৫ বার পঠিত