তুরস্কে ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকাজে দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে লাগবে জনবল। নেয়া হবে বাংলাদেশ থেকে। এভাবেই প্রতারণার ফাঁদ পাতেন বাবা-ছেলে। তাদের গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানায়, কয়েকটি ভুয়া এজেন্সির মাধ্যমে দেড় হাজার ভুক্তভোগীর কাছ থেকে তারা হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কামরুল হাসান ও তার ছেলে ফাহাদ হাসান।
ডিবি জানায়, তুরস্কে ভূমিকম্পের পর উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনী বাংলাদেশ থেকে জনবল নেবে এমন তথ্য ছড়ায় এক ভুয়া রিক্রুটিং এজেন্সি। যোগাযোগ করে কয়েক ধাপে টাকা দেন বগুড়ার শামীম। তারপর আর কথা রাখেনি সেই এজেন্সি।
শামীমের মতো দেড় হাজার মানুষ পা দেয় এ ফাঁদে। তাদের কাছ থেকে নেয়া হয় দুই থেকে তিন লাখ টাকা করে। বিশ্বাস অর্জনে দেয়া হয় অফার লেটার। করা হয় মেডিকেল পরীক্ষাও। এরপর তালবাহানা শুরু করেন প্রতারকরা। তারা জানান, তুরস্কে না, পাঠানো হবে সার্বিয়ায়। সেটিও প্রতারক চক্রের আরেকটি ফাঁদ।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের পর মাঠে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় একটি ভুয়া রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক কামরুল হাসান ও তার ছেলে ফাহাদ হাসানকে।
রোববার (৩১ মার্চ) এক ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, প্রতারণাই কামরুল হাসানের প্রধান পেশা। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনে অন্য এজেন্সি মাধ্যমে দেয়া হয় কয়েকটি ভিসাও। গড়ে তোলা হয়েছে অঢেল সম্পদের পাহাড়।
হারুন অর রশিদ বলেন,
লাইসেন্স ছাড়া ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে তারা বলেন যে হাজার হাজার লোক নেয়া হবে তুরস্কে। যেতে লাগবে ৭ লাখ টাকা। প্রথমে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জমা দিলেই হবে। এ রকম করে টাকা পয়সা নিয়ে তারা অফিস-মোবাইল বন্ধ করে অন্য জায়গায় চলে যান। তাই আমি মনে করি সবাইকেই এ ধরনের বিষয়ে যাচাই বাছাই করা উচিত।
এদিকে উপবৃত্তির নামে লাখ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগে আরও একজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৩২:৪৯ ২৬ বার পঠিত