কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে গবেষণায় আরও জোর দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা খাদ্য উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছি। দেশের জীবিকা নির্বাহী কৃষি এখন বাণিজ্যিকীকরণের দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। বর্তমানে দেশে খাদ্যের কোন ঘাটতি নেই। তবে জনসংখ্যা বাড়ছে আর চাষের জমি কমছে। এসব কারণে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করার জন্য গবেষণা আরও জোরদারের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের স্বল্প জীবনকালীন ও উচ্চফলনশীল নতুন জাত উদ্ভাবন করতে হবে এবং খাদ্যের উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে।’
আজ বুধবার রাজধানীর খামারবাড়িতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ গবেষণা দক্ষতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীগণ ও গবেষণা সংস্থাগুলি ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্রকে কাজে লাগিয়ে নতুন জাত উদ্ভাবনে সময় কমিয়ে আনতে হবে। স্বল্প সময়ের মধ্যে ফসলের নতুন উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ারের সভাপতিত্বে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস, কানাডার ইউনিভার্সিটি অব সাস্কাচুয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট বালজিত সিং ও বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক এবিএম খালদুন বক্তব্য রাখেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কানাডার সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ইনস্টিটিউট অব ফুড সিকিউরিটি (জিআইএফএস) এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) মধ্যে ২০২০ সালে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আলোকে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট চত্বরে বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়েছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন। এই কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে কানাডার প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো যাবে এবং দু’দেশের মধ্যে কৃষিখাতে সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৬:৪৭ ২৫ বার পঠিত