মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছাত্র জীবন থেকেই মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। দুর্ভিক্ষ-দাঙ্গায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শান্তির জন্য বিশ্বে বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে গিয়েছেন এবং নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত, শান্তি ও স্বাধীনতাকামী মানুষের পক্ষে আজীবন কথা বলে গেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু থেকে হয়ে উঠেন বিশ্ববন্ধু। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা দৃঢ়ভাবে ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন ও শান্তির বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। জাতির পিতার জুলিও-কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তি ছিল বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরব ও সম্মানের।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশ এখন আর পরনির্ভরশীল নয়, স্বনির্ভর দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে জাতির পিতার সোনার বাংলা। শিশুদেরকে বঙ্গবন্ধুর শান্তির আদর্শ মনে ধারণ করতে হবে।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মুহিবুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খানসহ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সচিব মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বাংলার বন্ধু থেকে হন বিশ্ববন্ধু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আজ যে উন্নয়ন তার ফলে দেশের মানুষ সুখে ও শান্তিতে বসবাস করছে।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জাতির পিতার জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের পুরস্কার প্রদান করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০০:০০ ৪৫ বার পঠিত