পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্রিটেনের সহযোগিতা চায়।
তিনি আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার তার সীমিত সম্পদ দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রণীত জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) মোতাবেক ১১৩টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক ও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা ছাড়া জলবায়ু সহিষ্ণুতা কর্মসূচী বাস্তবায়ন এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা বাংলাদেশের পক্ষে কঠিন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, মোট বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাসের দশমিক ৪৮ শতাংশের কম নির্গমণ করলেও বাংলাদেশ বিশ্বের ৭ম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ।
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, গ্লোবাল গোল অন এডাপটেশন, মিটিগেশন ওয়ার্ক প্রোগ্রাম এবং লস এন্ড ড্যামেজের জন্য তহবিল ব্যবস্থার বৈশ্বিক লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্রিটেনের সাথে একসঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় গৃহীত কর্মকান্ডে বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে।
বাংলাদেশের এনডিসি এবং ন্যাপের প্রশংসা করে হাইকমিশনার বলেন, সদ্যপ্রণীত মুজিব ক্লাইমেট প্রসপ্যারিটি প্ল্যান বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ বিশ্বে জলবায়ু কর্মকান্ডে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে।
তিনি এসময় বাংলাদেশের ইকোসিস্টেম বেইজড এডাপটেশনের প্রশংসা করে বলেন, জলবায়ু কর্মকান্ডে ব্রিটেনের চলমান সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান গতিতে অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনের জলবায়ু ও পরিবেশ টিমের টিম লিডার এলেক্স হারভেসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৫:৩১ ৪৫ বার পঠিত