নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথভাবে ‘শহিদ দিবস’ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে।
গতকাল সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিশনের কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে বের হওয়া ‘একুশে প্রভাত ফেরী’-তে যোগ দেন।
এসময় তারা হাইকমিশন চত্বরে স্থাপিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পরে এ উপলক্ষে একটি বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও ভাষা আন্দোলন’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বাংলা ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন।
তিনি সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত ও যথাযথভাবে সংরক্ষণের ওপর জোর দেন। তিনি অন্যান্য ভাষা শেখা এবং বিলুপ্তির হাত থেকে বিপন্ন ভাষাকে বাঁচাতে গুরুত্ব দেন।
একুশের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান রহমান।
দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু হলে এক বহুভাষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ ও আয়োজক দেশ ভারত ছাড়াও চিলি, ঘানা, জাপান ও নেপালের সাংস্কৃতিক দল তাদের নিজ নিজ ইতিহাস ও সংস্কৃতি তুলে ধরে অনুষ্ঠানে পরিবেশন করে।
নয়াদিল্লিতে ইউনেস্কোর আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রতিনিধিও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে ইউনেস্কোর মহাপরিচালকের দেওয়া বার্তা পড়ে শোনান।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা আন্দোলনের সকল পর্যায়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী ভাষা বীর শহীদসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। .
অনুষ্ঠানে স্বাগতিক দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও নয়াদিল্লি ভিত্তিক বিভিন্ন মিশনের কূটনীতিকরা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৯:৫৪ ২৪ বার পঠিত