সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিয়ে নিয়ে এই প্রথম মিডিয়ার সামনে আসলেন তিশার মা। এসময় মেয়ের জন্য আর্তনাদ করেন তিনি। বলেন, তিশাকে ব্লাকমেইল করে বিয়ে করেছে খন্দকার মুশতাক আহমেদ। তাকে জিম্মি করে কাবিননামায় স্বাক্ষর নিয়েছেন তিনি।
১৮ ফেব্রুয়ারি ডিবি কার্যালয়ে তিশা-মুশতাকের অসম বিয়ে নিয়ে কথা বলেছেন তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম। এর একদিন পরই তিশার মা আসলেন ক্যামেরার সামনে। এসময় তিশার বিভিন্ন স্মৃতি মনে করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, তার জামাকাপড় দেখলে, পড়ার টেবিল দেখলে আমার কান্না আসে।
তিশার মা বলেন,
তার কোনো কথায় হাসি নেই। আপনারা ভিডিও খেয়াল করলেই দেখবেন। অথচ সে সবসময় হাসে। আমি একবার তিশাকে ফোন করেছিলাম। তখন মুশতাক কথা বলতে দেয়নি। বলেছে, আগে আমাদের মেনে নিতে হবে। তাহলে কথা বলতে দেবে।
তিশাকে ব্লাকমেইল করেছে খন্দকার মুশতাক- এমন দাবি করে তিনি বলেন, তাকে জিম্মি করে কাবিননামায় স্বাক্ষর নিয়েছেন তিনি। তাকে যে বিয়ে করেছে এর স্বাক্ষী কাজী ছাড়া আর কেউ নেই। তিশা এখন যা বলছে সব শেখানো কথা। এখন মুশতাক নিজে বাঁচতে তিশাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। মুশতাক ভালো করেই জানে যে, তিশা একবার মুখ খুললে তার (মুশতাক) খবর আছে।
তিশা সহজ-সরল দাবি করে তার মা বলেন,
তিশা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে কিন্তু তাকে মুশতাক কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না। তিশা অনেক ভীতু মেয়ে এবং সহজ-সরল। তাকে যেভাবে পরিচালনা করছে সেভাবে সে পরিচালিত হচ্ছে।
এসময় মুশতাকের বিচার দাবি করেন তিশার মা। বলেন, তিশাকে জোর করে কাবিননামায় স্বাক্ষর নিয়েছে। খন্দকার মুশতাকের বিচার ও শাস্তি চাই। আমার মেয়েকে জিম্মি করে কাবিননামায় সই দিতে বলে মুশতাক। কিন্তু আমার মেয়ে সই দেবে না বললে, তখন বলে যে তোমার ছবি ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেব। টিসি দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেব। আমি গভর্নিং বডির সদস্য; প্রিন্সিপাল আমার ক্লোজ, এটা তো জানোই। বাধ্য হয়ে তিশা সই করে। এটাকে আমি বিয়ে বলব না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৩:০৮ ২১ বার পঠিত