কাগজে-কলমে ভারত থেকে রফতানি বন্ধের খবর পেলেই বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। অথচ রফতানি শুরুর ঘোষণা আসলেও, বাজারে তার কোনো প্রভাব নেই।
বিশেষ উদ্যোগে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের রাজ্য থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমোদন দিয়েছে। জানা গেছে, এর মধ্যে বাংলাদেশে রফতানি হবে ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
অথচ রাজধানীর বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই। কেননা, এখনও পেঁয়াজের দমি আগের মতোই। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১১২ টাকা।
প্রশ্ন জাগে, প্রায় আড়াই মাস আগে রফতানি বন্ধের প্রভাবও কী পড়েছিল এমন অপেক্ষার প্রহর গুনে? বাজার তথ্য বলছে, গত ৭ ডিসেম্বর ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার খবর পরদিন সকালে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বাজারে রাতারাতি দাম বেড়ে ভারতীয় পেঁয়াজ ঠেকেছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা। এ দাম বাড়তে থাকে প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায়। এতে ৯ ডিসেম্বর সকালেই এক কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম হয়ে যায় ২২০ টাকা, আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি। যদিও ওই সময় আমদানির প্রক্রিয়াধীন থাকা পেঁয়াজ দেশে আসে আরও কয়েক দিন পর।
বর্তমানে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে এক ক্রেতা বলেন,
বাজারে পেঁয়াজের দাম কমার তো কোনো লক্ষণ দেখছি না। বরং, সামনে রমজান মাস, দাম আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। আমরা নিম্ন মধ্যবিত্ত। আমরা বাজার করি, তাই আমরা জানি, বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি কী? তিনি (সরকার) কিন্তু জানেন না। তিনি মগডালে বসে মনিটরিং করেন।
এদিকে, এক খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, কয়েকদিন গেলেই বাজার স্থিতিশীল হয়ে যাবে। কেননা, দেশি পেঁয়াজ আমদানি হওয়া শুরু হবে। এখন তো বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ ছিল। এর জন্য দাম বেশি ছিল। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই বাজারে পেঁয়াজের দাম কমবে। ভারতীয় পেঁয়াজ আসলেও দাম কমবে, না আসলেও কমবে।
দাম ওঠানামার জন্য যে সংকটকে সামনে আনা হচ্ছে, অথচ ২৮ থেকে ৩০ লাখ মেট্রিক টন বাৎসরিক চাহিদার বিপরীতে দেশের ৩৪ লাখ মেট্রিক পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ সংরক্ষণজনিত অপচয় হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৯:৩৫ ৩৭ বার পঠিত