অল্প সময়ে ধনী হওয়ার নেশায় প্রতারণা ফাঁদ পাতেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক দুই শিক্ষক। তাদের টার্গেট ছিল, এমপিওভুক্ত নয় এমন মাদ্রাসা এবং মাদ্রাসার বিভিন্ন পদে নিয়োগ নিতে ইচ্ছুক আবেদনকারীরা। তাদের গ্রেফতারের পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বলছে, মাত্র চার থেকে পাঁচ বছরেই চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে চার কোটি টাকার বেশি।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিবিআই (ঢাকা মেট্রো-উত্তর) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম।
চক্রের মূলহোতা সাবেক দুই স্কুল শিক্ষক আব্দুল গাফফার ও আসাদুজ্জামান মানিক। একজন নিজেকে পরিচয় দিতেন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের উপসচিব, আরেকজন প্রোগ্রাম অফিসার। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগহ করে দুইজন ফোন দিতেন এমপিওভুক্তির অপেক্ষায় থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। দ্রুত এমপিওভুক্ত করার নাম করে দাবি করতেন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা। আর এ ফাঁদেই পা দেন ভুক্তভোগীরা।
দেশে এখনও অনেক মাদ্রাসা আছে এমপিওভুক্তির অপেক্ষায়। শিক্ষক-কর্মচারীদের আশায় দিন গোনা, কবে আসবে সুদিন! এই দুর্বলতার সুযোগ নিতো একটি প্রতারক চক্র।
জড়িতদের গ্রেফতারের পর পিবিআই বলছে, চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রায় সোয়া চার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। তাদের টার্গেট থেকে বাদ যায়নি মাদ্রাসায় নিয়োগ পেতে ইচ্ছুক আবেদনকারীরাও।
বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টাকা দেয়ার পরও যখন তাদের কাজ হচ্ছিল না, তখন তারা খোঁজ নিয়ে দেখেন যে আসাদুজ্জামান নামে কোনো প্রোগ্রাম অফিসার শিক্ষা অধিদফতরে নেই। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এ প্রতারণার মাধ্যতে তারা ৪ কোটি ১ লাখ ১৩৯ টাকা লেনদেনের তথ্য বিকাশ এবং নগদ থেকে পেয়েছি।
এ ঘটনার সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:২৯:০৪ ১৯ বার পঠিত